শনিবার, ১২ জুন, ২০১০

জুরাইনে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহনন

 
 

Sent to you by জন via Google Reader:

 
 

via প্রজন্ম ফোরাম by dummy@example.com (ইমরান্) on 6/12/10

http://jugantor.info/enews/issue/2010/06/12/51730_1.jpg

রাজধানীর কদমতলীর জুরাইনে সাংবাদিক শফিকুল কবিরের পুত্রবধূ ও দুই নাতি-নাতনীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মা দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর আন্তহত্যা করেছেন। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক। আÍহত্যার রহস্য উদঘাটন করতে গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম অনুসন্ধান চালাচ্ছে। মৃত্যুর আগে দুই শিশু সন্তান ও মা বাসার দেয়ালে লিখে গেছেন- তাদের মৃত্যুর জন্য আব্বু, দাদা, দাদী ও ফুফুরা দায়ী। তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমরা আন্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছি। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট ও একটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ২২৯ নম্বর নতুন জুরাইনের তৃতীয় তলার বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে সাংবাদিক শফিকুল কবিরের পুত্রবধূ ফারজানা কবির রিতা (৩৫) এবং তার দুই সন্তান ইসরাফ কবির বিন রাশেদ ওরফে পাবন (১১) ও রাইসা রাশমিন পায়েলের (১০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনটি লাশই ফ্লোরে জাজিমের ওপর পড়া ছিল। এ সময় লাশের ওপর থেকে একটি চিরকুট ও একটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করে পুলিশ। রিলাক্সিন ও সেডিল জাতীয় ওষুধের খামও পাওয়া যায় লাশের পাশে। ওষুধগুলো তাদের নিজস্ব প্রাইভেট কার চালক আল-আমিনকে দিয়ে দোকান থেকে আনা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য এসেছে। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। উৎসুক লোকজনের ভিড় সামলাতে বেগ পোহাতে হয় পুলিশকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সিআইডির ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এসে বিভিন্ন রুম থেকে আলামত সংগ্রহ করেন। পাবন ও পায়েল ধানমণ্ডি মাস্টার মাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ষষ্ঠ ও পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ত। বাসার গৃহকর্মী জিন্নাত আরা বেগম জানান, প্রায় ১৮ বছর ধরে এ বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসায় এসে মাংস, মাছ ও ডাল রান্না করেন। বিকাল ৩টার দিকে গৃহকর্ত্রী রিতা তাকে বলেন, রাতে আর আসতে হবে না। পরদিন সকালে এলে চলবে। তার কথামতো শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাসায় এসে দেখা যায়, মূল দরজা খোলা। বেডরুমে খালা ও তার দুই সন্তান ঘুমিয়ে আছে। আগের দিনের রান্না করা সবকিছুই ডাইনিং টেবিলে পড়ে আছে। সবাইকে ডাকাডাকি করার পর কোন শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি আরও বলেন, রিতা খালার হাত ধরে ডাকাডাকি করার পরও কোন সাড়াশব্দ না এলে তার সন্দেহ হয়। বিষয়টি আশপাশের লোকজনকে অবহিত করলে সবাই বাসায় আসে। পরে তাদের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে জিন্নাত আরা বেগম জানান, প্রায় সময় রিতা ও তার স্বামী রাশেদুল কবিরের মধ্যে ঝগড়া হতো। প্রায় সময় রিতা ও তার দুই সন্তানকে মারধর করতেন রাশেদুল। সংসারে কোন শান্তিই ছিল না। জানা গেছে, রাশেদুল কবির গাড়ির ব্যবসা করেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করেন। তার স্ত্রী রিতা গৃহিণী। শুক্রবার সকালে বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকেন রাশেদুল কবির ও তার স্ত্রী-সন্তানরা। নিচতলায় থাকেন সাংবাদিক শফিকুল কবির, তার স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান। তৃতীয় তলা ভাড়া দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় ৪টি বেডরুম রয়েছে। প্রতিটি রুমে এয়ারকন্ডিশনার আছে। ডাইনিং রুমসহ ৪টি বেডরুমের দেয়ালে রং পেন্সিল দিয়ে লেখা রয়েছে। প্রতিটি লেখার নিচে পাবন ও পায়েলের নাম উল্লেখ করা হয়। যে রুম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় ওই রুমে রিতা তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের উদ্দেশে কিছু কথা লিখে যান। ড্রয়িং রুমে টেলিভিশন, ল্যাপটপ, সোফাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। পায়েল ও পাবনের স্কুলের বই-খাতাগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। একটি দেয়ালে পায়েল লিখেছেÑ 'আমি, আমার মা ও আমার ভাই অনেক নোংরামি সহ্য করেছি। দুনিয়ায় আর কেউ সহ্য করে নাই। এখন সহ্য করার পালা তোদের। আমাদের মৃত্যুর জন্য বাবা রাশেদুল কবির দায়ী।' আরেকটি দেয়ালে পাবন লিখেছেÑ 'মাথা নিচু করে বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো, কারণ মাথা নিচু বাঁচা যন্ত্রণার ব্যাপার। তাও আফসোসÑ তোমাদের লজ্জা-শরম আগে থেকেই নাই। তাও বললাম যে, মাথা নিচু করে বাঁচা কি একটা যন্ত্রণার জিনিস। জানি এসব বলে কোন লাভ নেই। তাও বললামÑ।' আরেকটি রুমের এক কোনায় লেখা ছিলÑ 'ওই দাদা, তুই না সাংবাদিক? এবার তোর বাসার দেয়ালে পত্রিকা ছাপাইয়া দিলাম। তুই সব সময় তোর ছেলেমেয়ের কথা বলিস। আমরা দুই ভাইবোন ও মায়ের কথা একবারও বলিস না।' বাথরুমের ফ্লোরেও নানা বিষয়ে লেখা ছিল। বেডরুমের এক কোনায় রিতা লিখে যানÑ '১৮ বছর ধরে রাশেদুল কবির তোমাকে ভালোবেসে গিয়েছি। এই স্মৃতি আর ধরে রাখতে পারলাম না। দুই অবুঝ সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। তার পরও বাঁচতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আদরের ধন পায়েল ও পাবনকেও সঙ্গে নিয়ে গেলাম। আমাদের মৃত্যুর জন্য তুমিই একমাত্র দায়ী।' বাবার উদ্দেশে পাবন আরও লিখেছেÑ 'আব্বু, তুমি বলেছিলে যে, ৫০ বছর হইলেও তুমি স্মৃতিকে (আপত্তিকর ভাষা) বিয়ে করে দেখাবে। আমার মাকে বলেছিলে, তুমি চলে যাও। এটাও বলেছ যে, পাবন-পায়েল তোমার পেটে আসছে বলে আমার ঘৃণা লাগে।' পাশের রুমের মেঝেতে লাল রং দিয়ে বড় বড় হরফে আরেকটি লেখাÑ 'আমাদের জীবনের কিছু মানুষ আছে, যারা আমাদের জীবন নষ্ট করেছে, তারা হচ্ছেÑ শফিকুল কবির (দাদা), রাশিদুল কবির (বাবা), সুকন কবির (ফুফু) ও নূর বানু কবির (দাদি)। আমি হয়তো বলতাম যদি আমার চেহারা আর রক্ত বলতে পারতাম। মানুষ যেমন বলে, রক্ত কথা বলে, তাই তো আমি তোমাদের মতো কারও সঙ্গে বেইমানি বা মিথ্যা বলতে চাইনি। মরতে মরতে একটা আফসোস হচ্ছে যে, আমি তোমাদের বংশে জন্মেছি। আর তোদের রক্ত নিয়ে মরতেছি।' পায়েল লিখেছে 'সুকন কবির, তোর আর তোর মেয়ের মেঘনার বাড়ি দরকার তো? বাঁচিয়ে দিয়ে গেলাম। আমাদের দুই ভাইবোনের রক্ত খাইয়ে বড় করে দেখ শান্তি নাকি। তুই বলেছিস না, তুই মরলে তোর মেয়ে বড় হয়ে আমাদের খাওন শিখাবে। তোর বাড়ি দরকার, তোকে বাড়ি দিয়ে গেলাম।' একটি লেখা সাংবাদিক দাদুকে উদ্দেশ করে লিখেছে পাবন 'আম্মু তার বাবাকে দেখে নাই। আম্মুর আদর্শ মানুষ ছিল তার দাদা। তুমি কেন ভালো শ্বশুর হতে পারলে না? তুমি কেন ভালো দাদা হতে পার না? ১৮ বছর আগের কথা নিয়ে তোমরা কেন কথা বলছ। বর্তমানে আমার বাপ যা করছে তা নিয়ে কেন কথা বল নাই? আমার ভাবতেই ঘৃণা লাগে। আমার বাবা বিয়ে না করলে আমাদের জীবনটা আজ এমন হতো না। ফুফুরা, তোমরা বলেছিলে আমরা রাস্তায় গিয়ে ভিক্ষা করতে। কিন্তু না, বংশের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হতে দেব না। এজন্য মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছি।'
কেন দাম্পত্য কলহ : ছয়-সাত বছর আগে রাশেদুল কবির তার মামতো বোন স্মৃতিকে নিয়ে আসে বাসায়। ওই বাসায় থেকেই সে লেখাপড়া করে। এক পর্যায়ে রাশেদুল স্মৃতিকে ভালোবাসে। দুই বছর আগে গোপনে রাশেদুল স্মৃতিকে বিয়ে করে। এ খবর রিতা জানতেন না। স্মৃতিকে বিয়ের পর থেকেই রিতার ওপর চালান নির্যাতন। কেন নির্যাতন করা হচ্ছে তা জানতে চান রিতা। কিন্তু রাশেদুল তাকে বলতেন, তুই তোর বাবার বাড়ি চলে যা। তোর সঙ্গে আর সংসার করতে চাই না। ৬ মাস আগে রিতা জানতে পারেন, যে স্মৃতিকে বোনের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছেন, তাকে তার স্বামী বিয়ে করেছেন। স্মৃতিকে নিয়ে ইস্কাটন এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। মাঝেমধ্যে রাশেদুল বাসায় এসে রিতা ও তার দুই সন্তানকে মারধর করতেন। রাশেদুলকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালান রিতা। কিন্তু তিনি বার বার ব্যর্থ হন।
আÍীয়-স্বজনের কথা : নিহত রিতার ভগ্নিপতি কাজী মোহাম্মদ আরিফ জানান, ১৮ বছর আগে রিতা ভালোবেসে বিয়ে করে রাশেদুলকে। তাদের সুখের সংসার ছিল। হঠাৎ করে স্মৃতিকে বাসায় আনার পর সবকিছু উলটপালট হয়ে যায়। স্মৃতিকে বিয়ের পর তাকে বাসায় আনার চেষ্টা চালায়। গত ৬ মে কিছু পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে একটি বৈঠকও হয়েছিল। রাশেদুল বখাটে প্রকৃতির ছেলে। তার বাবা মা ও বোনরা ডাইনীর ভূমিকা পালন করে। তাদের বারবার বলার পরও কোন সুরাহা করেনি। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে রাশেদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা রিতার কাছ থেকে জোর করে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। ওই স্ট্যাম্পে লেখা ছিলÑ স্মৃতিকে বিয়ে করার ব্যাপারে তার কোন আপত্তি নেই। জুন মাসের মধ্যে সে বাসা ছেড়ে দেবে। সঙ্গে সন্তানদেরও নিয়ে নেবে। অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রিতা তার দুই সন্তানকে নিয়ে আÍহত্যা করেছে। এ মৃত্যুর জন্য রাশেদুল এবং তার বাবা-মা ও বোনরা দায়ী। বিশেষ করে রাশেদুলের বোন সুকন কবির এ বাড়িটি দখল করতে চায়। রিতার বড় বোন ফাহমিদা আরিফ মিতা জানান, চলতি মাসের ৯ তারিখে পায়েল ও পাবনের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়। বাচ্চাদের স্কুলের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রিতা কলাবাগান এলাকায় বাসা নিতে চেয়েছিল। ইতিমধ্যে বাসা থেকে কিছু আসবাবপত্র নিয়েছিল রিতা। কিন্তু এর আগেই তো তারা আল্লাহর কাছে বড় বাসা নিয়েছে। স্মৃতিকে বিয়ে করার পর থেকেই রাশেদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা রিতা ও দুই সন্তানের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। আÍহত্যার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, শফিকুল কবির ও তার স্ত্রী রিতার ওপর অভিমান করে বাসা থেকে সোনারগাঁ চলে যান। ইচ্ছা করলে তিনিই এসব সমস্যার সমাধান করতে পারতেন। রিতার আÍহত্যার জন্য রাশেদুলই দায়ী। রিতা ও দুই নাতি-নাতনীর লাশ দেখে বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন মা মাজেদা বেগম। তার আহাজারিতে পুরো হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, রাশেদুল ও তার বাবা-মা-বোনরা এজন্য দায়ী। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ৬ মাস আগে রিতা একবার আÍহত্যার চেষ্টা চালায়।
সাংবাদিক শফিকুল কবিরের বক্তব্য : শফিকুল কবির জানান, দাম্পত্য কলহ মেটানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ছেলে রাশেদুল ও রিতার জন্য তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাদের ঝগড়াঝাটি এড়াতে ওই বাসা থেকে গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত চলে আসি। রিতা আমার আদরের দুই নাতি-নাতনীকে হত্যা করে নিজে আÍহত্যা করে। স্মৃতিকে বিয়ে করার খবর পেয়ে রিতা মানসিক ভারসাম্যহীন হীন হয়ে পড়ে। দুই শিশু সন্তান খুবই মেধাবী ছিল। তারা কিছুতেই আÍহত্যা করতে পারে না। স্বামী-স্ত্রী কেন বারবার ঝগড়ায় লিপ্ত হতো তা তারাই ভালো বলতে পারবে। তিনি আরও বলেন, জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। রিতার মামা আব্বাসের উপস্থিতিতে একটি সালিশ বৈঠক হয়। ওই সালিশে সিদ্ধান্ত হয়েছিলÑ রিতা ও তার দুই সন্তান আলাদাভাবে থাকবে। ভরণপোষণসহ সবকিছু রাশেদুল বহন করবে।
পুলিশের বক্তব্য : ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তওফিক মাহবুব চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। কেমিক্যাল জাতীয় বা ঘুমের ওষুধ খেয়ে তারা আÍহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। দেয়ালে লেখা সম্পর্কে তিনি বলেন, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনজন লিখেছিল বলে মনে হয়। লাশের সিম্পটম ও লেখা দেখে মনে হচ্ছে, আগ থেকেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আÍহত্যা করার। তিনি আরো বলেন, রাশেদুল ও স্মৃতিকে গ্রেফতার করতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। এজাহারে কাউকে আসামি করলে তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যুগান্তর

পুলিশ কি পারবে প্রকৃত অপরাধীদের খুজে বের করে এর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে ?


 
 

Things you can do from here:

 
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন