ভাইরাস নাম টির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত তবে আমার ক জনেই বা জানি ভাইরাস আসলে কি? এর কাজ কি ? এটা কি করে কথায় থাকে? আজ আমারা ভাইরাস সম্পর্কে যানবো।
কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা ধারণা ছাড়াই নিজে নিজেই কপি হতে পারে। মেটামর্ফিক ভাইরাসের মত তারা প্রকৃত ভাইরাসটি কপিগুলোকে পরিবর্তিত করতে পারে অথবা কপিগুলো নিজেরাই পরিবর্তিত হতে পারে। একটি ভাইরাস এক কম্পিউটার থেকে অপর কম্পিউটারে যেতে পারে কেবলমাত্র যখন আক্রান্ত কম্পিউটারকে স্বাভাবিক কম্পিউটারটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। যেমন: কোন ব্যবহারকারী ভাইরাসটিকে একটি নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠাতে পারে বা কোন বহনযোগ্য মাধ্যম যথা ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, ইউএসবি ড্রাইভ বা ইণ্টারনেটের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এছাড়াও ভাইরাসসমূহ কোন নেট ওয়ার্ক ফাইল সিস্টেমকে আক্রান্ত করতে পারে, যার ফলে অন্যান্য কম্পিউটার যা ঐ সিস্টেমটি ব্যবহার করে সেগুলো আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসকে কখনো কম্পিউটার ওয়ার্ম ও ট্রোজান হর্সেস এর সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়। ট্রোজান হর্স হল একটি ফাইল যা এক্সিকিউটেড হবার আগ পর্যন্ত ক্ষতিহীন থাকে।
বর্তমানে অনেক পার্সোনাল কম্পিউটার (পিসি) ইণ্টারনেট ও লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত থাকে যা ক্ষতিকর কোড ছড়াতে সাহায্য করে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, ই-মেইল ও কম্পিউটার ফাইল শেয়ারিং এর মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমন ঘটতে পারে। কিছু ভাইরাসকে তৈরি করা হয় প্রোগ্রাম ধ্বংশ করা, ফাইল মুছে ফেলা বা হার্ড ডিস্ক পূণর্গঠনের মাধ্যমে কম্পিউটারকে ধ্বংশ করার মাধ্যমে। অনেক ভাইরাস কম্পিউটারের সরাসরি কোন ক্ষতি না করলেও নিজেদের অসংখ্য কপি তৈরি করে যা লেখা, ভিডিও বা অডি ও বার্তার মাধ্যমে তাদের উপস্থিতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। নিরীহ দর্শন এই ভাইরাসগুলোও ব্যবহারকারীর অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। এগুলো স্বাভাবিক প্রোগ্রামগুলোর প্রয়োজনীয় মেমোরি দখল করে। বেশ কিছু ভাইরাস বাগ তৈরি করে, যার ফলশ্রুতিতে সিস্টেম ক্র্যাশ বা তথ্য হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
ভাইরাস নিয়ে আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন পরের পর্বে
মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০১০
Blogging Account শুরু পর্ব-১
আজ আমরা শিখব ব্লগারে Blogger.com ব্লগিং করা কিভাবে শুরু করতে হয়। অথবা ভিন্নভাবে বললে বলতে হবে ব্লগারে কিভাবে একটি ব্লগিং একাউন্ট (Blogging Account) খুলতে হয়।
ব্লগার হল গুগল (Google) কোম্পানি দ্বারা প্রদত্ত সবচাইতে বড় ব্লগিং প্লাটফর্ম (Blogging Platform)। এখানে ব্লগিং করার জন্য কোনরকম ফি প্রদান করতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনেপয়সায় (Free) আনলিমিটেড (Unlimited) স্পেস (Space) আপনার ব্লগিং এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। ফলে নিজস্ব ডোমেইনে যেমন জায়গা সমস্যার কারণে সবসময় একটু চিন্তায় থাকতে হয়, ব্লগারে ব্লগিং করলে সেই চিন্তা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থাকা যায়।
১।প্রথমে আপনাকে http://blogger.com এ যেতে হবে। এই পেজের ছবিটা নিম্নরূপ:
হলুদ বক্সের মধ্যে 1 এবং 2 লেখা জায়গাগুলোকে খেয়াল করতে হবে।
প্রথমে 1 নং জায়গায় আপনাকে একটি কার্যকরী (Valid) ই-মেইল (e mail) এড্রেস ও পাসওয়ার্ড (Password) দিতে হবে। এই ই-মেইল এড্রেসটি অবশ্যই জিমেইল (Gmail) এর হতে হবে।
যদি আপনার জিমেইল এড্রেস (Google account) না থাকে তাহলে 2 নং হলুদ বক্সে Create your blog now লেখা জায়গাতে একবার ক্লিক (Click) করে পরবর্তী ধাপে যান। এখানে আপনাকে একটি জিমেইল একাউন্ট (Gmail Account) খোলার জন্য ফরম আসবে। ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করলেই আপনি জিমেইল একাউন্ট খুলে ফেলতে পারবেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। একটি জিমেইল একাউন্ট থাকার অর্থ হল আপনি স্বয়ক্রিয়ভাবে একটি গুগল একাউন্ট (Google Account) এর অধিকারী হয়ে গেলেন। একটি গুগল একাউন্ট থাকার সুবিধা অনেক। একটি গুগল একাউন্ট থাকলে কি কি সুবিধা পাওয়া সম্ভব সে বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
সূত্র- Bangla Hacks
ব্লগার হল গুগল (Google) কোম্পানি দ্বারা প্রদত্ত সবচাইতে বড় ব্লগিং প্লাটফর্ম (Blogging Platform)। এখানে ব্লগিং করার জন্য কোনরকম ফি প্রদান করতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনেপয়সায় (Free) আনলিমিটেড (Unlimited) স্পেস (Space) আপনার ব্লগিং এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। ফলে নিজস্ব ডোমেইনে যেমন জায়গা সমস্যার কারণে সবসময় একটু চিন্তায় থাকতে হয়, ব্লগারে ব্লগিং করলে সেই চিন্তা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থাকা যায়।
১।প্রথমে আপনাকে http://blogger.com এ যেতে হবে। এই পেজের ছবিটা নিম্নরূপ:
হলুদ বক্সের মধ্যে 1 এবং 2 লেখা জায়গাগুলোকে খেয়াল করতে হবে।
প্রথমে 1 নং জায়গায় আপনাকে একটি কার্যকরী (Valid) ই-মেইল (e mail) এড্রেস ও পাসওয়ার্ড (Password) দিতে হবে। এই ই-মেইল এড্রেসটি অবশ্যই জিমেইল (Gmail) এর হতে হবে।
যদি আপনার জিমেইল এড্রেস (Google account) না থাকে তাহলে 2 নং হলুদ বক্সে Create your blog now লেখা জায়গাতে একবার ক্লিক (Click) করে পরবর্তী ধাপে যান। এখানে আপনাকে একটি জিমেইল একাউন্ট (Gmail Account) খোলার জন্য ফরম আসবে। ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করলেই আপনি জিমেইল একাউন্ট খুলে ফেলতে পারবেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। একটি জিমেইল একাউন্ট থাকার অর্থ হল আপনি স্বয়ক্রিয়ভাবে একটি গুগল একাউন্ট (Google Account) এর অধিকারী হয়ে গেলেন। একটি গুগল একাউন্ট থাকার সুবিধা অনেক। একটি গুগল একাউন্ট থাকলে কি কি সুবিধা পাওয়া সম্ভব সে বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
সূত্র- Bangla Hacks
সহজেই তৈরী করুন Multiboot CD / DVD
Multiboot CD/ DVD
সহজেই তৈরী করুন multiboot DVD (একাধিক মেনু সম্বলিত ইন্সটলেশন ডিভিডি/সিডি)
আমরা অনেকেই ভাবি যে একটি ডিভিডি বা সিডির মধ্যে অধিক সফটওয়্যার ভরে ফেলে সিডির সংখ্যা কমিয়ে ফেলার কথা। কিন্তু যখন সেটা বুটেবল সিডি হয় তখন একাধিক সিডি একত্রিকরন প্রক্রিয়া টি জটিল হয়ে দাঁড়ায়। আজ আমি সেটাই সহজ ভাবে উপস্থাপন করব। আজকের এক্সপেরিমেন্ট এ আমি সাধারন সিডি ব্যবহার করেছি, তবে আপনারা ইচ্ছা করলে ডিভিডি ও ব্যবহার করে আরও বেশী বুটেবল সিডি একত্রিত করতে পারবেন। আজকের টিউটরিয়ালে আমাদের যা যা লাগবে তা হলঃ
১। এরো স্টুডিও ২০০৭ [Aero Studio 2007] অথবা [Aero Studio 2008]
২। আই এস ও এডিটর, অনেক ধরনের সফটওয়্যার দিয়েই এই কাজ করা যায় (আই এস ও ফাইল এ ফাইল এড করা এবং বাদ দেওয়া) আমি এক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি পাওয়ার আই এস ও ।
৩। বুটেবল সিডি, এক্ষেত্রে আমি ব্যবহার করেছি, ম্যাক্রিয়াম রিফ্লেক্ট রেস্কিউ ডিস্ক এবং এক্সপি সার্ভিস প্যাক থ্রি সেট আপ ডিস্ক।
কাজ শুরু করার আগে বলে রাখা প্রয়োজন, এই একই কাজ বিভিন্ন ভাবে করা যায়, পাওয়ার আই এস ও ব্যবহার না করেও অন্য ISO Edit Software দিয়ে ও বুট ফাইল এক্সট্রাক্ট করে এই কাজ করা সম্ভব ।
উপরোক্ত সব গুলো সংগ্রহের পর চলুন কাজ শুরু করে দেই।
প্রথমেই আমাদের দরকার প্রয়োজনীয় ফাইল গুলি সংগ্রহ করা। শুরু করা যাক এক্সপি সেট আপ ডিস্ক দিয়ে। এক্সপি সেট আপ ডিস্ক সিডি রম ড্রাইভে ভরে ওটাকে আই এস ও ইমেজ এ পরিনত করি।
আই এস ও ফাইল টিকে একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে D:\My lab\Bootable Image\
XP3.iso নামে সেভ করে রাখি।
এবার power ISO দিয়ে ফাইল টার কন্টেন্ট গুলো D:\My lab\Bootable Image ফোল্ডারে এক্সট্রাক্ট করে নেই(এই কাজ Win RAR ,7zip এর মত অনেক সফটওয়্যারই করতে পারে)।
এখন যেহেতু আই এস ও এর কন্টেন্ট আপনি অলরেডি Bootable Image ফোল্ডারে চালান করে দিয়েছেন, কাজেই এ গুলোর আর আই এস ও ফাইলের মধ্যে থাকার দরকার নেই। তবে বুটেবল ইনফরমেশন সহ কিছু ফাইল আই এস ও তে রেখে দিতেই হবে যেটা আমাদের এরো স্টুডিও কাজে লাগাবে, তাই শুধু মাত্র ফোল্ডার গুলো আই এস ও এডিটর(এই ক্ষেত্রে Power ISO) দিয়ে ডিলিট করে ফেলুন।
এবার এই আই এস ও ফাইল টাকে সেভ করে ফেলি।
উইন্ডোজ এক্সপি এর প্রয়োজনীয় ফাইল সংগ্রহের পালা শেষ এবার দ্বীতিয় বুটেবল সিডি এর ফাইল সংগ্রহ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আমি ব্যবহার করেছি ম্যাক্রিয়াম এর রেস্কিউ সিডি। ম্যাক্রিয়াম রিফ্লেক্ট নামের এই সফটওয়্যার টি কিন্তু চমতকার, এটি একটি ফ্রি সফটওয়্যার, এটির মাধ্যমে, উইন্ডোজ চলাকালীন সময়ে আপনি আপনার সিস্টেম ড্রাইভের ইমেজ গ্রহন ও পরবর্তি তে রেস্কিউ সিডি ব্যবহার করে তা অল্প সময়ের মধ্যে (মাত্র ৫ মিনিট , অবশ্য যদি ড্রাইভ টিতে মাত্র ১০ গিগাবাইট ডাটা থাকে) তা রিস্টোর করে নিতে পারবেন। এখন এই রেস্কিউ সিডির আই এস ও ফাইল টি নিয়ে মুলত একই কাজ করতে হবে। কন্টেন্ট এক্সট্রাক্ট করতে হবে ঐ একই যায়গায় অর্থাৎ c:\sumon\bootableImage\ (এই আই এস ও টি মাত্র ৭ মেগাবাইটের, আর কন্টেন্ট বলতে isolinux নামের একটি মাত্র ফোল্ডার)। এরপর ইমেজ(Rescue.iso) এর ভিতর হতে ISOLINUX ফোল্ডার টি ডিলিট করে দেই, এবং আই এস ও ফাইল টি সেভ করি।
এবারে আমরা এরো স্টুডিও ওপেন করি। এবার ফরম্যাট মেনু হতে সেটিংস এ ক্লিক করে আমাদের বুট পেজ এর ব্যাক গ্রাউন্ড সিলেক্ট করি। ব্যাক গ্রাউন্ড আগে হতেই নিজের মত এডিট করে রাখতে পারেন ।
এবারে কন্ট্রোল মেনু হতে বাটন এ ক্লিক করে বাটন বসাই। এক্ষেত্রে আমরা তিনটি বাটন ব্যবহার করেছি একটি ম্যাক্রিয়াম রেস্কিউ সিডি, একটি এক্সপি থ্রি চালানোর জন্য, এবং অন্যটি হার্ড ডিস্ক হতে বুট আপ করার জন্য।
বাটন গুলির কনফিগারেশন যথাক্রমে নীচের চিত্রের মত হবেঃ
যারা এক্সপি থ্রি এর পরিবর্তে এক্সপি ২ এর সেট আপ ডিস্ক নিয়ে কাজ করছেন, তারা এই আই এস ও বানানোর প্রক্রিয়াকে বাদ দিয়ে শুধু কন্টেন্ট গুলো কপি করে নিবেন।
যারা এক্সপি ২ ডিস্ক বানাচ্ছেন(এক্সপি থ্রি) এর পরিবর্তে, তারা নিচের কনফিগারেশনে লিখবেনঃ
bcdw (cd)/i386/setupldr.bin এবং আপনারা xp3.iso এর মত xp2.iso ফাইলটি তৈরী করার প্রয়োজন নেই।
এবার মেনু জেনারেট করার পালা,
এরপর এর উইন্ডো তে সব গুলো ঘর পুরন করিঃ
Go বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই মেনু জেনারেট হয়ে যাবে, তারপর “Cancel” বাটনে ক্লিক করলে আমরা আগের উইন্ডো তে ফিরে যাবো।
এবারে মেনু ডেপ্লয় করার পালা তা করতে নীচের চিত্রে যেভাবে দেখানো আছে তা অনুসরন করিঃ
এবার যে উইন্ডো টি আসবে তা যথাক্রমে পুরন করিঃ
এবার সব শেষে আই এস ও ফাইল অথবা সিডি তে রেকর্ড করার পালা।
আমি প্রথমে আই এস ও ফাইল তৈরী করেছি এবং পরে তা নেরো এর মাধ্যমে একটি সিডি আর ডাব্লিউ অর্থাৎ রি রাইটেবল সিডি তে বার্ন করে পরীক্ষা মুলক ভাবে সিডি টি রম ড্রাইভে রেখে কম্পিউটার বুট করে দেখেছি তা ঠিক মত কাজ করে কিনা। এবং তা কাজ করেছে।আশা করি আপনারাও সফল হবেন। ডিভিডি তৈরীর প্রক্রিয়াটি অনেকটা একই রকম। আশা করি আপনাদের এই টিউটরিয়াল ফলো করতে সমস্যা হবেনা। সমস্যা যদি হয়েই যায়, অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
আর একটা কথা , এখানে যে আই এস ও ব্যবহার করা হয়েছে, তা কিন্তু সম্পুর্ন সিডি এর ইমেজ নয়, ইমেজ টাকে কেটে ছেটে নেওয়া হয়েছে, আসল কন্টেন্ট রাখা হয়েছে হোম ফোল্ডারে, আর আই এস ও তে থেকে যাচ্ছে বুটেবল ইনফরমেশন সহ নির্দিষ্ট কিছু ফাইল।মুলত এখানে আই এস ও ফাইল টাকে শুধু মাত্র বুট ইনফরমেশন ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপুর্ন ফাইল ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। লক্ষ্য করে দেখুন আই এস ও এর সাইজ মাত্র ৫৪ কিলোবাইট, কিন্তু আসল সিডি এর আই এস ও ইমেজ ছিল ৫৯৫ মেগাবাইট এর মত। আর এই ধরনের এক্সপেরিমেন্ট আপনারা যদি CD-RW বা DVD-RW দিয়ে করেন, তাহলেই ভালো হয়, খামোখা ডিস্ক নস্ট হবার ঝুকি থাকে না।
আসলে যে কোন বুটেবল ডিস্ক এর আই এস ও ইমেজ ই আপনি ব্যবহার করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে হিরেন বুট এর সঠিক ভাবে তৈরী আই এস ও ইমেজ থাকলে, bcdw (cd)/Hiren.iso
লিখলেই তো হবে।
সহজেই তৈরী করুন multiboot DVD (একাধিক মেনু সম্বলিত ইন্সটলেশন ডিভিডি/সিডি)
আমরা অনেকেই ভাবি যে একটি ডিভিডি বা সিডির মধ্যে অধিক সফটওয়্যার ভরে ফেলে সিডির সংখ্যা কমিয়ে ফেলার কথা। কিন্তু যখন সেটা বুটেবল সিডি হয় তখন একাধিক সিডি একত্রিকরন প্রক্রিয়া টি জটিল হয়ে দাঁড়ায়। আজ আমি সেটাই সহজ ভাবে উপস্থাপন করব। আজকের এক্সপেরিমেন্ট এ আমি সাধারন সিডি ব্যবহার করেছি, তবে আপনারা ইচ্ছা করলে ডিভিডি ও ব্যবহার করে আরও বেশী বুটেবল সিডি একত্রিত করতে পারবেন। আজকের টিউটরিয়ালে আমাদের যা যা লাগবে তা হলঃ
১। এরো স্টুডিও ২০০৭ [Aero Studio 2007] অথবা [Aero Studio 2008]
২। আই এস ও এডিটর, অনেক ধরনের সফটওয়্যার দিয়েই এই কাজ করা যায় (আই এস ও ফাইল এ ফাইল এড করা এবং বাদ দেওয়া) আমি এক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি পাওয়ার আই এস ও ।
৩। বুটেবল সিডি, এক্ষেত্রে আমি ব্যবহার করেছি, ম্যাক্রিয়াম রিফ্লেক্ট রেস্কিউ ডিস্ক এবং এক্সপি সার্ভিস প্যাক থ্রি সেট আপ ডিস্ক।
কাজ শুরু করার আগে বলে রাখা প্রয়োজন, এই একই কাজ বিভিন্ন ভাবে করা যায়, পাওয়ার আই এস ও ব্যবহার না করেও অন্য ISO Edit Software দিয়ে ও বুট ফাইল এক্সট্রাক্ট করে এই কাজ করা সম্ভব ।
উপরোক্ত সব গুলো সংগ্রহের পর চলুন কাজ শুরু করে দেই।
প্রথমেই আমাদের দরকার প্রয়োজনীয় ফাইল গুলি সংগ্রহ করা। শুরু করা যাক এক্সপি সেট আপ ডিস্ক দিয়ে। এক্সপি সেট আপ ডিস্ক সিডি রম ড্রাইভে ভরে ওটাকে আই এস ও ইমেজ এ পরিনত করি।
আই এস ও ফাইল টিকে একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে D:\My lab\Bootable Image\
XP3.iso নামে সেভ করে রাখি।
এবার power ISO দিয়ে ফাইল টার কন্টেন্ট গুলো D:\My lab\Bootable Image ফোল্ডারে এক্সট্রাক্ট করে নেই(এই কাজ Win RAR ,7zip এর মত অনেক সফটওয়্যারই করতে পারে)।
এখন যেহেতু আই এস ও এর কন্টেন্ট আপনি অলরেডি Bootable Image ফোল্ডারে চালান করে দিয়েছেন, কাজেই এ গুলোর আর আই এস ও ফাইলের মধ্যে থাকার দরকার নেই। তবে বুটেবল ইনফরমেশন সহ কিছু ফাইল আই এস ও তে রেখে দিতেই হবে যেটা আমাদের এরো স্টুডিও কাজে লাগাবে, তাই শুধু মাত্র ফোল্ডার গুলো আই এস ও এডিটর(এই ক্ষেত্রে Power ISO) দিয়ে ডিলিট করে ফেলুন।
এবার এই আই এস ও ফাইল টাকে সেভ করে ফেলি।
উইন্ডোজ এক্সপি এর প্রয়োজনীয় ফাইল সংগ্রহের পালা শেষ এবার দ্বীতিয় বুটেবল সিডি এর ফাইল সংগ্রহ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আমি ব্যবহার করেছি ম্যাক্রিয়াম এর রেস্কিউ সিডি। ম্যাক্রিয়াম রিফ্লেক্ট নামের এই সফটওয়্যার টি কিন্তু চমতকার, এটি একটি ফ্রি সফটওয়্যার, এটির মাধ্যমে, উইন্ডোজ চলাকালীন সময়ে আপনি আপনার সিস্টেম ড্রাইভের ইমেজ গ্রহন ও পরবর্তি তে রেস্কিউ সিডি ব্যবহার করে তা অল্প সময়ের মধ্যে (মাত্র ৫ মিনিট , অবশ্য যদি ড্রাইভ টিতে মাত্র ১০ গিগাবাইট ডাটা থাকে) তা রিস্টোর করে নিতে পারবেন। এখন এই রেস্কিউ সিডির আই এস ও ফাইল টি নিয়ে মুলত একই কাজ করতে হবে। কন্টেন্ট এক্সট্রাক্ট করতে হবে ঐ একই যায়গায় অর্থাৎ c:\sumon\bootableImage\ (এই আই এস ও টি মাত্র ৭ মেগাবাইটের, আর কন্টেন্ট বলতে isolinux নামের একটি মাত্র ফোল্ডার)। এরপর ইমেজ(Rescue.iso) এর ভিতর হতে ISOLINUX ফোল্ডার টি ডিলিট করে দেই, এবং আই এস ও ফাইল টি সেভ করি।
এবারে আমরা এরো স্টুডিও ওপেন করি। এবার ফরম্যাট মেনু হতে সেটিংস এ ক্লিক করে আমাদের বুট পেজ এর ব্যাক গ্রাউন্ড সিলেক্ট করি। ব্যাক গ্রাউন্ড আগে হতেই নিজের মত এডিট করে রাখতে পারেন ।
এবারে কন্ট্রোল মেনু হতে বাটন এ ক্লিক করে বাটন বসাই। এক্ষেত্রে আমরা তিনটি বাটন ব্যবহার করেছি একটি ম্যাক্রিয়াম রেস্কিউ সিডি, একটি এক্সপি থ্রি চালানোর জন্য, এবং অন্যটি হার্ড ডিস্ক হতে বুট আপ করার জন্য।
বাটন গুলির কনফিগারেশন যথাক্রমে নীচের চিত্রের মত হবেঃ
যারা এক্সপি থ্রি এর পরিবর্তে এক্সপি ২ এর সেট আপ ডিস্ক নিয়ে কাজ করছেন, তারা এই আই এস ও বানানোর প্রক্রিয়াকে বাদ দিয়ে শুধু কন্টেন্ট গুলো কপি করে নিবেন।
যারা এক্সপি ২ ডিস্ক বানাচ্ছেন(এক্সপি থ্রি) এর পরিবর্তে, তারা নিচের কনফিগারেশনে লিখবেনঃ
bcdw (cd)/i386/setupldr.bin এবং আপনারা xp3.iso এর মত xp2.iso ফাইলটি তৈরী করার প্রয়োজন নেই।
এবার মেনু জেনারেট করার পালা,
এরপর এর উইন্ডো তে সব গুলো ঘর পুরন করিঃ
Go বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই মেনু জেনারেট হয়ে যাবে, তারপর “Cancel” বাটনে ক্লিক করলে আমরা আগের উইন্ডো তে ফিরে যাবো।
এবারে মেনু ডেপ্লয় করার পালা তা করতে নীচের চিত্রে যেভাবে দেখানো আছে তা অনুসরন করিঃ
এবার যে উইন্ডো টি আসবে তা যথাক্রমে পুরন করিঃ
এবার সব শেষে আই এস ও ফাইল অথবা সিডি তে রেকর্ড করার পালা।
আমি প্রথমে আই এস ও ফাইল তৈরী করেছি এবং পরে তা নেরো এর মাধ্যমে একটি সিডি আর ডাব্লিউ অর্থাৎ রি রাইটেবল সিডি তে বার্ন করে পরীক্ষা মুলক ভাবে সিডি টি রম ড্রাইভে রেখে কম্পিউটার বুট করে দেখেছি তা ঠিক মত কাজ করে কিনা। এবং তা কাজ করেছে।আশা করি আপনারাও সফল হবেন। ডিভিডি তৈরীর প্রক্রিয়াটি অনেকটা একই রকম। আশা করি আপনাদের এই টিউটরিয়াল ফলো করতে সমস্যা হবেনা। সমস্যা যদি হয়েই যায়, অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
আর একটা কথা , এখানে যে আই এস ও ব্যবহার করা হয়েছে, তা কিন্তু সম্পুর্ন সিডি এর ইমেজ নয়, ইমেজ টাকে কেটে ছেটে নেওয়া হয়েছে, আসল কন্টেন্ট রাখা হয়েছে হোম ফোল্ডারে, আর আই এস ও তে থেকে যাচ্ছে বুটেবল ইনফরমেশন সহ নির্দিষ্ট কিছু ফাইল।মুলত এখানে আই এস ও ফাইল টাকে শুধু মাত্র বুট ইনফরমেশন ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু গুরুত্বপুর্ন ফাইল ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। লক্ষ্য করে দেখুন আই এস ও এর সাইজ মাত্র ৫৪ কিলোবাইট, কিন্তু আসল সিডি এর আই এস ও ইমেজ ছিল ৫৯৫ মেগাবাইট এর মত। আর এই ধরনের এক্সপেরিমেন্ট আপনারা যদি CD-RW বা DVD-RW দিয়ে করেন, তাহলেই ভালো হয়, খামোখা ডিস্ক নস্ট হবার ঝুকি থাকে না।
আসলে যে কোন বুটেবল ডিস্ক এর আই এস ও ইমেজ ই আপনি ব্যবহার করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে হিরেন বুট এর সঠিক ভাবে তৈরী আই এস ও ইমেজ থাকলে, bcdw (cd)/Hiren.iso
লিখলেই তো হবে।
Windows Xp এবং Vista এর Customizing CD সিডি তৈরী করুন
Windows Xp এবং Vista এর Customizing CD সিডি তৈরী করুন
বিভিন্ন সময়ে আমরা উইন্ডোজ ইনষ্টল করে থাকি। উইন্ডোজ এক্সপি ইনষ্টল করতে গেলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তথ্য দিতে হয়। এর মধ্যে সিরিয়াল নম্বর, এডমিনিষ্ট্রেটরে পাসওয়ার্ড, কম্পিউটারের নাম ইত্যাদি। যা অনেক সময় বিরক্তিকর এবং সময় সাপেক্ষ হয়। কিন্তু আপনি যদি উইন্ডোজ এক্সপির কাষ্টমাইজ সিডি তৈরী করে রাখেন তাহলে প্রতিবার ইনষ্টল করার সময় এসব তথ্য দিতে হবে না। আপনার কাস্টমাইজ সিডি থেকে আপনা আপনি এসব তথ্য ব্যবহৃত হবে। এজন্য আপনাকে আগে উইন্ডোজ এক্সপির কাস্টমাইজ সিডি তৈরী করতে হবে।
এনলাইট সফটওয়্যার দ্বারা আপনি উইন্ডোজ এক্সপির কাস্টমাইজ সিডি তৈরী করতে পারেন। ২.৫৪ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি www.nliteos.com থেকে ডাউনলোড করে ইনষ্টল করে নিন। এজন্য আপনার কম্পিটউটারে মাইক্রোসফটের ডট নেট ২.০ সংস্করণ ইনষ্টল থাকতে হবে। প্রথমে এনলাইট সফটওয়্যারটি চালু করুন এবং ইংরেজী ভাষা নির্বাচিত রেখে Next বাটনে ক্লিক করে Location the Windows installation উইন্ডো থেকে Browse বাটনে ক্লিক করে আপনার কম্পিউটারে থাকা উইন্ডোজের লোকেশন (সরাসরি সিডি থেকে না ) দেখিয়ে দিন তাহলে উইন্ডোজের সকল তথ্য চলে আসবে।এবার Next বাটনে ক্লিক করে আবার Next বাটনে ক্লিক করুন।
এবার Task Selection এ All বাটনে ক্লিক করে Next করুন। Service Pack উইন্ডোতে আপনি চাইলে এক্সপির সার্ভিস প্যাক যুক্ত করতে পারেন Select বাটনে ক্লিক করে।
এরপরে Next করে Hotfixes, Add-ons and Update Packs উইন্ডো থেকে Advanced বাটনে ক্লিক করে ইনেবল করতে পারেন।
এরপরে Next করে Drivers উইন্ডো থেকে প্রয়োজনীয় ড্রাইভার (প্রিন্টার, ল্যান, গ্রাফিক্স, সাউন্ডকার্ড ইত্যাদি) Insert করতে পারেন।
এবার Next করে করে Components উইন্ডো থেকে প্রয়োজনীয় কম্পোনেন্টগুলো নির্বাচন করুন এবং Next করুন।
এরপরে Unattended উইন্ডোর বিভিন্ন ট্যাব থেকে আপনার ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করুন (থীম, সিরিয়াল নম্বর, এ্যাডমিনিষ্ট্রেটরে পাসওয়ার্ড, কম্পিউটারের নাম, সময় ইত্যাদি)।
এখন Next করে Options উইন্ডো থেকে প্রয়োজনবোধে বিভিন্ন অপশনস পরিবর্তন করতে পারেন।
এবার Next করে Tweaks উইন্ডো থেকে প্রয়োজনীয় টোয়ীক এবং সার্ভিস নির্বাচন করে Next বাটনে ক্লিক করলে Do you want to start the process? আসবে।
এখন Yes করলে প্রসেস শুরু হবে। প্রসেস শেষ হলে Next করলে Bootable ISO উইন্ডো আসবে। এখান থেকে আপনি সরাসরি সিডিতে রাইট করতে পারবেন বা বুটেবল ইমেজ তৈরী করতে পারবেন পরবর্তিতে রাইট করার জন্য। বুটেবল ইমেজ তৈরী করতে Mode এ Create Image নির্বাচন করে Label লিখে Make ISO বাটনে ক্লিক করুন।
এবার নির্দিষ্ট লোকেশন দেখিয়ে Save করুন।
ব্যাস এরপরে উক্ত ইমেজ সিডিতে রাইট করলেই হয়ে গেলো আপনার কাস্টমাইজ উইন্ডোজ এক্সপি।
এরপর থেকে আরো সহজে কাস্টমাইজ এক্সপি ইনষ্টল করতে পারবেন। আর উইন্ডোজ ভিসতাকে কাস্টমাইজ করতে আপনাকে ভিলাইট www.vlite.net ব্যবহার করতে হবে।
বিভিন্ন সময়ে আমরা উইন্ডোজ ইনষ্টল করে থাকি। উইন্ডোজ এক্সপি ইনষ্টল করতে গেলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তথ্য দিতে হয়। এর মধ্যে সিরিয়াল নম্বর, এডমিনিষ্ট্রেটরে পাসওয়ার্ড, কম্পিউটারের নাম ইত্যাদি। যা অনেক সময় বিরক্তিকর এবং সময় সাপেক্ষ হয়। কিন্তু আপনি যদি উইন্ডোজ এক্সপির কাষ্টমাইজ সিডি তৈরী করে রাখেন তাহলে প্রতিবার ইনষ্টল করার সময় এসব তথ্য দিতে হবে না। আপনার কাস্টমাইজ সিডি থেকে আপনা আপনি এসব তথ্য ব্যবহৃত হবে। এজন্য আপনাকে আগে উইন্ডোজ এক্সপির কাস্টমাইজ সিডি তৈরী করতে হবে।
এনলাইট সফটওয়্যার দ্বারা আপনি উইন্ডোজ এক্সপির কাস্টমাইজ সিডি তৈরী করতে পারেন। ২.৫৪ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি www.nliteos.com থেকে ডাউনলোড করে ইনষ্টল করে নিন। এজন্য আপনার কম্পিটউটারে মাইক্রোসফটের ডট নেট ২.০ সংস্করণ ইনষ্টল থাকতে হবে। প্রথমে এনলাইট সফটওয়্যারটি চালু করুন এবং ইংরেজী ভাষা নির্বাচিত রেখে Next বাটনে ক্লিক করে Location the Windows installation উইন্ডো থেকে Browse বাটনে ক্লিক করে আপনার কম্পিউটারে থাকা উইন্ডোজের লোকেশন (সরাসরি সিডি থেকে না ) দেখিয়ে দিন তাহলে উইন্ডোজের সকল তথ্য চলে আসবে।এবার Next বাটনে ক্লিক করে আবার Next বাটনে ক্লিক করুন।
এবার Task Selection এ All বাটনে ক্লিক করে Next করুন। Service Pack উইন্ডোতে আপনি চাইলে এক্সপির সার্ভিস প্যাক যুক্ত করতে পারেন Select বাটনে ক্লিক করে।
এরপরে Next করে Hotfixes, Add-ons and Update Packs উইন্ডো থেকে Advanced বাটনে ক্লিক করে ইনেবল করতে পারেন।
এরপরে Next করে Drivers উইন্ডো থেকে প্রয়োজনীয় ড্রাইভার (প্রিন্টার, ল্যান, গ্রাফিক্স, সাউন্ডকার্ড ইত্যাদি) Insert করতে পারেন।
এবার Next করে করে Components উইন্ডো থেকে প্রয়োজনীয় কম্পোনেন্টগুলো নির্বাচন করুন এবং Next করুন।
এরপরে Unattended উইন্ডোর বিভিন্ন ট্যাব থেকে আপনার ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করুন (থীম, সিরিয়াল নম্বর, এ্যাডমিনিষ্ট্রেটরে পাসওয়ার্ড, কম্পিউটারের নাম, সময় ইত্যাদি)।
এখন Next করে Options উইন্ডো থেকে প্রয়োজনবোধে বিভিন্ন অপশনস পরিবর্তন করতে পারেন।
এবার Next করে Tweaks উইন্ডো থেকে প্রয়োজনীয় টোয়ীক এবং সার্ভিস নির্বাচন করে Next বাটনে ক্লিক করলে Do you want to start the process? আসবে।
এখন Yes করলে প্রসেস শুরু হবে। প্রসেস শেষ হলে Next করলে Bootable ISO উইন্ডো আসবে। এখান থেকে আপনি সরাসরি সিডিতে রাইট করতে পারবেন বা বুটেবল ইমেজ তৈরী করতে পারবেন পরবর্তিতে রাইট করার জন্য। বুটেবল ইমেজ তৈরী করতে Mode এ Create Image নির্বাচন করে Label লিখে Make ISO বাটনে ক্লিক করুন।
এবার নির্দিষ্ট লোকেশন দেখিয়ে Save করুন।
ব্যাস এরপরে উক্ত ইমেজ সিডিতে রাইট করলেই হয়ে গেলো আপনার কাস্টমাইজ উইন্ডোজ এক্সপি।
এরপর থেকে আরো সহজে কাস্টমাইজ এক্সপি ইনষ্টল করতে পারবেন। আর উইন্ডোজ ভিসতাকে কাস্টমাইজ করতে আপনাকে ভিলাইট www.vlite.net ব্যবহার করতে হবে।
Win XP Win Vista & Win 7 এর Bootable USB
খুব সহযেই USB Device থেকে Windows Xp Windows Vista windows 7 Setup দিন এবং Live USB তৈরী করুন । এর জন্য যা করতে হবে তা হল এই লিংক থেকে WinToFlash Software টি download করতে হবে। এটি Portable Software তাই Download করে রান করুন এবং USB port এ আপনার পেনড্রাইভ টি লাগান ।
বাকী কাজ আপনারা নিজ থেকেই পারবেন
আর একটি কথা কাজ শুরু করার পুর্বে পেনড্রাইভ টি Format করে নিন ।
সমস্যা হলে আমাকে মেইল করুন -johnautomation2@gmail.com
বাকী কাজ আপনারা নিজ থেকেই পারবেন
আর একটি কথা কাজ শুরু করার পুর্বে পেনড্রাইভ টি Format করে নিন ।
সমস্যা হলে আমাকে মেইল করুন -johnautomation2@gmail.com
Windows Live CD
Live CD কি সেটা আমার মনে হয় সবাই জানেন। তার পর ও বলছি, এই সিডিগুলো থেকে অপারেটিং সিস্টেম সরাসরি লোড হতে পারে। এর ফলে আপনি ইনস্টল না করেই কোন একটা অপারেটিং সিস্টেমের ফীচারগুলো দেখতে পারবেন। যারা পিসি ট্রাবলশুটিংয়ের কাজ করে তাদের জন্য উইন্ডোজ এক্সপির লাইভ সিডি একটি খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস। অনেক সময় পিসি চলাকালীন বিদ্যুৎ চলে গেলে পরেরবার আর উইন্ডোজ রান হয় না। "Inaccessible Boot Device" এরর দেখায়। বিশেষ করে ইউন্ডোজ ২০০০ এ এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে এক্সপির লাইভ সিডি দিয়ে পিসি বুট করে কমান্ড প্রম্পট থেকে chkdsk/f c: চালালেই সমাধান হয়ে যায়। এছাড়া ও ধরুন, ভাইরাস বা অন্য কারণে উইন্ডোজ ক্র্যাশ করেছে। C: ড্রাইভ ফরম্যাট করতে হবে। কিন্তু C: ড্রাইভে আপনার কিছু ডেটা রয়ে গেছে। এই ক্ষেত্রে লাইভ সিডি দিয়ে পিসি বুট করে ডেটাগুলো C: থেকে কপি করে অন্য ড্রাইভে সরিয়ে নিতে পারেন। যাইহোক, এই রকম অনেক কাজেই লাইভ সিডির প্রয়োজন হয়।
খুব সহজেই আপনি উইন্ডোজ এক্সপির একটা লাইভ সিডি তৈরী করতে পারেন। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন:
১. এই লিংক থেকে Pebuilder সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।
২. Internet থেকে xpe-1.0.7.cab ফাইলটি ডাউনলোড করুন। Google search দিলেই পেয়ে যাবেন।
৩. Windows XP এর সেটাপ সিডিটি সিডি ড্রাইবে দিন। Pebuilder চালু করুন। Source: এ সিডিরমটি সিলেক্ট করে দিন। Output: এ লিখুন XPLIVECD। Media output: এ Create ISO image সিলেক্ট করে ISO ইমেজটি কোথায় সেব হবে তা দেকিয়ে দিন।
৪. Plugins বাটনে ক্লিক করুন। Add বাটনে ক্লিক করে একটু আগে ডাউনলোড করা
xpe-1.0.7.cab ফাইলটি দেখিয়ে দিন। OK করুন। প্লাগইন লিস্ট থেকে nu2shell এ ক্লিক করুন। দেখবেন এটি এনাবল অবস্থায় আছে। Enable/Disable বাটনে ক্লিক করে nu2shell কে ডিজেবল করে দিন। একইভাবে Startup Group কে ও ডিজেবল করে দিন। Close বাটন ক্লিক করুন। এই ধাপটা একটু সতর্কতার সাথে করুন যেন ভুল না হয়।
৫. এবার Build বাটনে ক্লিক করুন। এক্সপির লাইভ সিডির ISO ফাইল তৈরী হওয়া শুরু হবে। এই ধাপে কিছুক্ষন সময় লাগবে। অপেক্ষা করুন। কাজ ঠিকঠাক মত শেষ হয়ে গেলে আপনি Pebuilder.iso নামে একটা ফাইল পাবেন(ISO ইমেজ যেখানে সেভ হওয়ার জন্য দেখিয়ে দিয়েছিলেন)। এইধাপে সাধারনত কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
৬. Pebuilder.iso ফাইলটাকে Nero বা কোন সিডিবার্নিং সফটওয়্যার দিয়ে ইমেজ হিসেবে সিডিতে রাইট করুন। খেয়াল রাখবেন ডাটা সিডি হিসেবে রাইট করলে কিন্ত কাজ করবে না।
হয়ে গেল আপনার Windows XP Live CD। এবার সিডিটি সিডিরমে রেখে BIOS এ 1st Boot CD সিলেক্ট করলেই কাজ হয়ে যাবে।
আরো জানার জন্য মেইল করতে পারেন johnautomation2@gmail.com
খুব সহজেই আপনি উইন্ডোজ এক্সপির একটা লাইভ সিডি তৈরী করতে পারেন। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন:
১. এই লিংক থেকে Pebuilder সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।
২. Internet থেকে xpe-1.0.7.cab ফাইলটি ডাউনলোড করুন। Google search দিলেই পেয়ে যাবেন।
৩. Windows XP এর সেটাপ সিডিটি সিডি ড্রাইবে দিন। Pebuilder চালু করুন। Source: এ সিডিরমটি সিলেক্ট করে দিন। Output: এ লিখুন XPLIVECD। Media output: এ Create ISO image সিলেক্ট করে ISO ইমেজটি কোথায় সেব হবে তা দেকিয়ে দিন।
৪. Plugins বাটনে ক্লিক করুন। Add বাটনে ক্লিক করে একটু আগে ডাউনলোড করা
xpe-1.0.7.cab ফাইলটি দেখিয়ে দিন। OK করুন। প্লাগইন লিস্ট থেকে nu2shell এ ক্লিক করুন। দেখবেন এটি এনাবল অবস্থায় আছে। Enable/Disable বাটনে ক্লিক করে nu2shell কে ডিজেবল করে দিন। একইভাবে Startup Group কে ও ডিজেবল করে দিন। Close বাটন ক্লিক করুন। এই ধাপটা একটু সতর্কতার সাথে করুন যেন ভুল না হয়।
৫. এবার Build বাটনে ক্লিক করুন। এক্সপির লাইভ সিডির ISO ফাইল তৈরী হওয়া শুরু হবে। এই ধাপে কিছুক্ষন সময় লাগবে। অপেক্ষা করুন। কাজ ঠিকঠাক মত শেষ হয়ে গেলে আপনি Pebuilder.iso নামে একটা ফাইল পাবেন(ISO ইমেজ যেখানে সেভ হওয়ার জন্য দেখিয়ে দিয়েছিলেন)। এইধাপে সাধারনত কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
৬. Pebuilder.iso ফাইলটাকে Nero বা কোন সিডিবার্নিং সফটওয়্যার দিয়ে ইমেজ হিসেবে সিডিতে রাইট করুন। খেয়াল রাখবেন ডাটা সিডি হিসেবে রাইট করলে কিন্ত কাজ করবে না।
হয়ে গেল আপনার Windows XP Live CD। এবার সিডিটি সিডিরমে রেখে BIOS এ 1st Boot CD সিলেক্ট করলেই কাজ হয়ে যাবে।
আরো জানার জন্য মেইল করতে পারেন johnautomation2@gmail.com
Windows Key) এর ব্যবহার
আমারা আজ উইন কি এর ব্যবহার শিখব
যোদিও আমার অনেকেই জানি
আজ আমার বিষয় টি যারা আমার মত নবিন তাদের জন্য
যোদিও আমার অনেকেই জানি
আজ আমার বিষয় টি যারা আমার মত নবিন তাদের জন্য
- Windows: Start menu দেখাবে
- Windows + D: সকল windows মিনিমাইজ ও ম্যাক্সিমাইজ হবে
- Windows + E: Windows Explorer দেখাবে
- Windows + F: Search for files দেখাবে
- Windows + F1: Help and Support Center ডিসপ্লে করবে
- Windows + L: workstation লক হেব
- Windows + Q: ইউজারের Quick switching হবে (Powertoys only)
- Windows + R: Run dialog box চালু হবে
- Windows + break: System Properties dialog box ডিসপ্লে করবে
- Windows + shift + M: সকল windows মিনমাইজ আনডু হবে
- Windows + U: Utility Manager ওপেন হবে
- Windows + Q: Windows Key চেপে হোল্ড করে Q চাপলে বিভিন্ন ইউজার স্ক্রল হবে
- Windows + Ctrl + F: Search for computer দেখাবে
তোমাকে পাওয়ার জন্য
তোমাকে পাওয়ার জন্য কত রৌদ্রতপ্ত রাজপথ মাড়িয়েছি,
পার করেছি কত সহস্র বর্গ মাইল পথ; তোমার পিছু পিছু।
পিছনের সিট গুলো খালি রেখে
ভেপসা গরমে, বাসের হেন্ডেল ধরে ঝুলেছি কত অজানা দূরত্ব;
আঁড় চোখে শুধু একবার তোমাকে দেখার জন্য।
সেই উঠতি বয়সে পাগলামির বাঁধ ভেঙ্গেছি,
ছেলেমানুষির সীমা পার করে নিজেকে প্রমাণ করেছি দূর্বিনীত।
বৃষ্টিতে ভিজেছি, পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়েছি,
তবু ঠিক রাত বারোটায় উপস্থিত হয়েছি তোমার জন্মদিনে
তোমার বারান্দার সামনে, আঠারোটি গোলাপ হাতে।
শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্য...
হাতে হাত রেখে চষে বেরিয়েছি জিয়া উদ্যান, সংসদ ভবন;
সকাল-সন্ধা আড্ডায় মাতিয়েছি টি.এস.সি আর কার্জন হল।
চোখে চোখ রেখে বলেছি, ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি ।
রাতের ঘুমকে স্বর্গলোকে পাঠিয়ে,
শহরের দু'মেরুতে থেকেও আদরে আদরে সিক্ত করেছি রাতের জোছনা।
কল্পনার সীমানাকে সপ্তম আকাশের উচ্চতায় উঠিয়ে
তোমাতে মিলে-মিশে হয়েছি একাকার।
অনতিক্রম্য জেনে; বিনিদ্র নয়নে অপেক্ষা করেছি,
শুধু তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য...
সেই তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে বহুদূর,
কল্পনার সপ্তম আকাশকে অতি নগণ্য প্রমাণ করে
তুমি চলে গেলে সকলের সীমানার বাইরে।
ছোট ছোট পায়ে যে তুমি আমার সাথে তাল মিলাতে পারতে না
সে তুমি কিভাবে আমাকে ছেড়ে চলে গেলে এত দূর?
এত দিনেও চিনলে না আমায়;
বুঝলে না তোমাকে ছাড়া প্রতিটি মুহূর্ত অসহায় এই আমি।
তাইতো এভাবে চলে গেলে, স্বার্থপরের মত।
জীবনকে হারিয়ে এ যুদ্ধে তুমি জয়ীই হলে,
আর তোমাকে হারিয়ে আমি খুঁজে ফিরছি আমার জীবন।
আজও চেয়ে থাকি আকাশ পানে, ওই দূর নক্ষত্রটির দিকে
শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্য
পার করেছি কত সহস্র বর্গ মাইল পথ; তোমার পিছু পিছু।
পিছনের সিট গুলো খালি রেখে
ভেপসা গরমে, বাসের হেন্ডেল ধরে ঝুলেছি কত অজানা দূরত্ব;
আঁড় চোখে শুধু একবার তোমাকে দেখার জন্য।
সেই উঠতি বয়সে পাগলামির বাঁধ ভেঙ্গেছি,
ছেলেমানুষির সীমা পার করে নিজেকে প্রমাণ করেছি দূর্বিনীত।
বৃষ্টিতে ভিজেছি, পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়েছি,
তবু ঠিক রাত বারোটায় উপস্থিত হয়েছি তোমার জন্মদিনে
তোমার বারান্দার সামনে, আঠারোটি গোলাপ হাতে।
শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্য...
হাতে হাত রেখে চষে বেরিয়েছি জিয়া উদ্যান, সংসদ ভবন;
সকাল-সন্ধা আড্ডায় মাতিয়েছি টি.এস.সি আর কার্জন হল।
চোখে চোখ রেখে বলেছি, ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি ।
রাতের ঘুমকে স্বর্গলোকে পাঠিয়ে,
শহরের দু'মেরুতে থেকেও আদরে আদরে সিক্ত করেছি রাতের জোছনা।
কল্পনার সীমানাকে সপ্তম আকাশের উচ্চতায় উঠিয়ে
তোমাতে মিলে-মিশে হয়েছি একাকার।
অনতিক্রম্য জেনে; বিনিদ্র নয়নে অপেক্ষা করেছি,
শুধু তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য...
সেই তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে বহুদূর,
কল্পনার সপ্তম আকাশকে অতি নগণ্য প্রমাণ করে
তুমি চলে গেলে সকলের সীমানার বাইরে।
ছোট ছোট পায়ে যে তুমি আমার সাথে তাল মিলাতে পারতে না
সে তুমি কিভাবে আমাকে ছেড়ে চলে গেলে এত দূর?
এত দিনেও চিনলে না আমায়;
বুঝলে না তোমাকে ছাড়া প্রতিটি মুহূর্ত অসহায় এই আমি।
তাইতো এভাবে চলে গেলে, স্বার্থপরের মত।
জীবনকে হারিয়ে এ যুদ্ধে তুমি জয়ীই হলে,
আর তোমাকে হারিয়ে আমি খুঁজে ফিরছি আমার জীবন।
আজও চেয়ে থাকি আকাশ পানে, ওই দূর নক্ষত্রটির দিকে
শুধু তোমাকে পাওয়ার জন্য
কল্পনা বিলাসী
আমি কল্পনা বিলাসী। এই চারদেয়াল,শৃঙ্খল আর পরাধীন কর্মব্যস্ত জীবন থেকে বের হয়ে আসার জন্যই কল্পনা করি। এই যানজট যুক্ত আর দূষিত বাতাসের শহরে আমার নিঃস্বাস বন্ধ হয়ে আসে। তাই কল্পনায় আমি আমার মত করে বাচাঁর স্বপ্ন দেখি। আমি জানি আমার কল্পনার স্বপ্নের কোন বাস্তবতা নেই। তবুও কল্পনা করি স্বপ্ন দেখি..........। নিজের কল্পনার জগতে অবাস্তব স্বপ্নকে পূর্ণ করি। প্রতিদিনের নতুন সূর্যে উদয়ের প্রতিটি দিন নিজের জীবনকে সুন্দর করা আর স্বপ্নকে নিয়ে আগামীর পথচলার প্রত্যয়ে আমার এগিয়ে যাওয়া। আমি ভাল আছি আমার কল্পনা,স্বপ্ন আর প্রকৃতিকে ভালোবেসে আশেপাশের সকল মানুষকে ভালোবেসে।
একটি ভ্রুনহত্যার গল্প
আমি আজকাল প্রায় সকালেই দেরী করে ঘুম থেকে উঠি।আজও দিবানিদ্রাতেই থাকার প্রাণপন প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলাম।কিন্তু ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো নোকিয়া ফোনের কড়কড় রিংটোনে।সাধারণত এরকম ক্ষেত্রে আমি ঘুমের ভান করে পরে থাকি।কিন্তু আজকের ঘটনা ভিন্ন।কারণ ফোনটা করেছে মুনিয়া খালা।আমাকে যদি আমার দেখা পৃথিবীর দশজন ভালো মানুষের তালিকা করতে বলা হয় তাহলে আমি উনাকে এই তালিকাতে রাখতে পারবোনা।আমার কাছে উনি কারো সাথেই তুলনীয় নন।খালা আমাকে এতটাই ভালোবাসেন যে আম্মা মাঝে মাঝে উনাকে বলেন,"মুনিয়া আমার ছেলেরে তুই নিয়ে যা,তোকে আমি দিয়ে দিলাম।" মজার ব্যাপার হলো উনি আমার আপন খালা না।বিভিন্ন লতায়-পাতায় পেঁচানো খালা।প্রকৃতির কি অদ্ভুত লীলা যার মনটা এত মায়া দিয়ে গাঁথা,তাকেই খোদা কখনো নিজের সন্তানের মা ডাক শুনতে দেননি।খালার প্রথম সন্তান মারা যাওয়ার পর কি কারণে যেন উনি আর কখনোই মা হতে পারেননি।খালার সেই সন্তানটি ছিলো ছেলে,যে পৃথিবীতে আসার পূর্বে নাম প্রাপ্ত হয়েছিলো অর্ক।এর কিছুদিন পর আমার জন্ম হলে এই খালাই আমাকে তার সন্তানের জন্য রাখা নামটি দেন।শুনেছি জন্মের পর মুনিয়া খালা আমাকে নিয়ে যান কিনা এটা ভেবে আম্মা বেশ ভয়ে ছিলেন।হয়তো তার হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে আমার মাঝে খুঁজে পান বলেই প্রতিবার বাসা থেকে বিদায় নেওয়ার আগে ছলছল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলেন,"আব্বা গেলাম,তুমি ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া কইরো।পড়াশোনা বাদ।"
আসল কথায় ফিরে আসি।আমি খালার ফোন ধরে সালাম দিতেই খালা কান্না কান্না কন্ঠে আমাকে অনেকগুলো কথা একসাথে বলতে লাগলেন।অস্পষ্টভাবে যা বললেন তাতে আমি যা বুঝলাম তা হলো,রিমি হাসপাতালে।আজকে ওর abortion করা হয়েছে।সমস্যা হয়েছে ওর জ্ঞান এখনো ফেরেনি।
রিমির পরিচয় দেয়া দরকার।রিমি আমার খালার পালিত কন্যা।ওকে দত্তক নেয়ার ঘটনাটা খুবই বিচিত্র।খালার সন্তান মারা যাওয়ার পর খালা একটু কেমন যেন হয়ে গিয়েছিলেন।তখন ঘরের কাজের জন্য একজন বুয়া রাখা হয়।বুয়ার মাসখানেক আগে একটা মেয়ে হয়েছিলো।খালা বুয়ার বাচ্চাকে নিজের খাটে শুইয়ে ঘুম পাড়াতেন,কোলে নিয়ে রাখতেন,এমনকি খাইয়েও দিতেন।খালু এই ব্যাপার নিয়ে মহা পেরেশান ছিলেন।আমার আম্মাকে প্রায় বলতেন "আপা বুয়ার বাচ্চার জন্য আমি আজকাল ঘুমাইতে পারিনা,আমাকে আপনার বোন সোফায় ঘুমাইতে বলে নিজে বাচ্চারে আমাদের খাটে রেখে দেয়।বলেনতো এইটা কিছু হইলো?"।
দুঃখজনকভাবে বুয়া কাজ করার দুইমাস পরে তার শরীরে লিউকিমিয়া ধরা পড়ে।খালা শুধু বুয়ার কন্যাসন্তানটির জন্য হলেও বুয়ার অনেক চিকিৎসা করিয়েছিলেন।কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর কয়েকঘন্টা আগে হঠাৎ করে বুয়া খুব হাসতে শুরু করে।একসময় খালার হাত ধরে বলে,"আপনে কিন্তু ওর মা আছেন,আপনারে কীরা দিয়া গেলাম"। আমার মমতাময়ী খালা এভাবেই রিমিকে পান। রিমি আর আমার বয়স প্রায় সমান।খুব বেশি হলে বছরখানেক ছোট হবে।ওর আপন মা মারা যাওয়ার পর খালা কখনো ওকে এতটুকু কষ্ট দিয়ে মানুষ করেননি।আমরা এবং খালার আত্নীয়স্বজনদেরকে খালা প্রথমেই বলে দিয়েছিলেন,উনাকে যদি কেউ আপন মনে করে তাহলে এই বাচ্চাকেও আপন ভেবে নিতে হবে।একবার আমার এক মামা কিছু একটা বলেছিলেন,মুনিয়া খালা চোখের পানি নাকের পানি এক করে তাকে ত্যাজ্য করেন।ওই মামা পরে রিমির জন্য ১০ কেজি চমচম কিনে খালার বাসায় রওনা হোন।খালা তো তার দরজা খুলেননা কোনভাবেই।পরে খালুজান অনেক কষ্টে খালাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে মামার সাথে ভাব করায় দেন।খালা শর্ত দিছিলেন,মামা যেন তার বাসায় কখনো মিষ্টি ছাড়া না আসে।আমরাও মামার বদৌলতে প্রায়ই চমচম খেয়ে তৃপ্তিভরা ঢেঁকুর তুলতাম।উল্লেখ্য রিমির প্রিয় খাবার ছিলো চমচম।
সবই ঠিক ছিলো,শুধু সমস্যা ছিলো খালুজান।খালা মনে করতেন খালুজান রিমিকে আপন মেয়ের মত ভালোবাসেননা।যদিও রিমি কখনো অভিযোগ করেনি,বরং খালুর সাথে দেখতাম তার বেশ ভালোই ভাব।খালু তার এই পালক কন্যাকে কখনো একবারের জন্যও সামান্য ধমক দেয়নি।তবুও খালা রিমিকে নিয়ে খালুজানকে প্রায়ই বকাঝকা করতেন।
সেই রিমির চার মাস আগে আকদ হয়ে গেছে আর আজকে কি ভয়ঙ্কর কথা শুনলাম।আমি খালাকে হাসপাতালের নাম জেনে এখুনি আসছি কথা দিয়ে ফোন রাখলাম।এর এক ঘন্টা পর আমি মনোয়ারা হাসপাতালে রিমির কেবিনের পাশের খোলা বারান্দায় দাঁড়ানো।আমার পাশে রিমির জামাই মুখ কাঁচুমাঁচু করে বসে আছে।আমি তাকে মুখ গম্ভীর করে জিজ্ঞেস করলাম, abortion এর সিদ্ধান্ত কেন নিলো! উনি আমার দিকে অস্বস্তি নিয়ে তাকিয়ে বললো, "এখনো তো ঘরে তুলে নেইনি।আম্মা বলছে অনুষ্ঠান করে বউ ঘরে নেবেন।তাই অনুষ্ঠানের আগে বাচ্চা হয়ে গেলে সমস্যা।এইজন্যই আর কি..."।আমি এহেন জবাব শুনে হতভম্ব হয়ে গেলাম।তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেও আর ইচ্ছা হলোনা।খালা আর খালুর পাশে যেয়ে দাঁড়ালাম। খালা তখন অঝোরে কাঁদছে মেয়ের পাশে বসে।খালু খালার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন চুপ করে।আমাকে দেখে খালা কাছে টেনে এনে বসালেন।তারপর কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, "তোমার খালুজানরে জিজ্ঞেস করো সে কেন কিছু করলোনা।এখন আমার সাথে আহলাদ দেখায় বলে মেয়ের কিছু হবেনা।কোনদিন এই লোক মেয়েটাকে নিজের মেয়ে ভাবেনাই।" খালু আস্তে আস্তে মাথা নাড়ায় বলে, "আমি কি করবো?তোমার মেয়ের জামাই এমন সিদ্ধান্ত নিলে ওদের মধ্যে আমি কি কিছু বলার হক রাখি?" খালা এবার রেগে গেলো, "তুমি আমার সামনে থেকে দূর হও।তোমার মুখ দেখাও পাপ"। খালু আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষন,তারপর কেবিনের বাহিরে হাঁটা দিলো।খালা আমাকে এরপর জিজ্ঞেস করলো,নাস্তা করছি নাকি।হালকা পাতলা কথা বললো।
এর একটু পর রিমির প্রথমবারের মত সেদিন জ্ঞান ফিরলো।খালা হন্তদন্ত হয়ে রিমির মাথার কাছে যেয়ে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, "মা এখন কেমন লাগতেছে?ব্যাথা আছে?"। রিমি একটা কেমন অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে খালার দিকে তাকালো।তারপর খেব মৃদু কন্ঠে বললো, "আম্মু ভাইয়াকে অনেকদিন পর দেখলাম।ও তো বোনের কথা একবারও ভাবেনা।" আমি রিমির দিকে হাসি দিয়ে তাকিয়ে বললাম, "সময় পাইনারে।বাসাতেও আজকাল থাকিনা তেমন"। রিমির চোখ দিয়ে দেখলাম টপ টপ করে পানি পড়ছে।আমাকে কান্না কান্না গলায় বললো, "ভাইয়া জানিস ডাক্তার না মানা করছিলো বাচ্চাটাকে না মারতে,আমি সকালে আসলে ডাক্তার আমাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখায় আমার বাচ্চার ছোট্ট মুখখানা,তার হৃদপিন্ডের ধুক ধুক শুনায়।জানিস ভাইয়া অনেক ছোট্ট ছোট্ট হাত ছিলো।এমন কেন হলো রে?আমার বাচ্চাটা কি কোনদিন আমাকে মাফ করবেরে ভাইয়া?আমি অনেক কাঁদছিলাম যেন বাচ্চাটাকে না মারে,কিন্তু আমার কথা কেউ শুনেনাই।ভাইয়া আমার বাচ্চাটা এখন কই আছে বলতো?বেহেশতে না ভাইয়া?"
আমি চোখের পানি ঢাকার জন্য কেবিনের বাহিরে চলে আসি।পিছনে শুনলাম খালা অঝোরে কাঁদছে।বাহিরে এসে শার্টের কোনা দিয়ে চোখ মুছে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ।একটু স্বাভাবিক হলে পিছন ফিরে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পেলাম।আমার খালুজান হাসপাতালের করিডোরের আরেক পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে।আমি উনার কাছে আস্তে আস্তে হেঁটে গেলাম।দেখলাম উনি রিমির আসল বাবা ফরিদ উদ্দিন সাহেবের কাঁধে হাত দিয়ে কান্নাভেজা চোখে এক গাদা কথা বলছেন। "বুঝলা ফরিদ আমার মেয়েটাকে যখন স্কুল থেকে নিয়ে আসতাম তখন প্রায় সে মিস্টির দোকানের দিকে তাকিয়ে থাকতো।প্রতিদিন আমরা মিস্টির দোকানে যেয়ে একসাথে চমচম খেতাম।ওর জন্য প্রতিরাতে চমচম কিনে আনতাম।ওর মা ঘুমায় থাকতো,তখন আমি ওকে কোলে করে নিয়ে বারান্দায় ঘুরতাম আর মিস্টি ভেঙ্গে ভেঙ্গে মুখে দিতাম।ও আমার কোলেই খেতে খেতে ঘুমায় পড়তো।আজকে আমার এই মামুনীটা এভাবে হাসপাতালে শুয়ে আছে আর আমি ওর জন্য কিছু করতে পারছিনা।" ফরিদ সাহেব মাথা নিচু করে খালুজানের পিঠে হাত বুলিয়ে দিইয়ে বললো, "কাইন্দেন না।আমাগো মাইয়ার কিছু হইবোনা।"
আমি এই দুই অশ্রসজল পিতার ভালোবাসার দৃশ্য কিছুক্ষণ দেখলাম।কিছু সময় মানুষ অনুভূতিহীন হয়ে যায়।আমারো ঠিক এই মুহূর্তে এমনটাই মনে হচ্ছিলো।কত কথা মনে পড়ে গেলো।আমার এস.এস.সি,এইচ.এস.সি পরীক্ষার সময় রিমি প্রতিদিন বাসায় এসে এটা-ওটা রান্না করতো।আমাকে বলতো, "আমার ভাইয়া হলো সবসময় ফাস্ট।তাই এখন পরীক্ষার জন্য ওর খাবারও হবে ফাস্টক্লাস।" আমি এসব ভাবতে ভাবতে মনে মনে বললাম , "বোনরে আমি কোনদিন ফাস্ট হইতে পারিনাই।কিন্তু তুই সবসময় বোন হিসেবে আমার কাছে ফাস্ট ছিলি"।
আরেকবার চোখে পানি মুছতে মুছতে খালার চিৎকার শুনতে পারলাম।আমি হুড়মুড় করে কেবিনের দিকে দৌড় দিলাম।দেখি রিমির শরীর কেমন কুঁকড়িয়ে যাচ্ছে।হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকলাম।ডাক্তার ডেকে আনা হলো।রিমির জামাই আফসার সাহেব ছুটাছুটি করতে থাকলেন।ডাক্তার সবাইকে রুম থেকে বাহিরে যেতে বললে আমরা কেবিনের বাহিরে জমায়েত হলাম।আমার খালা অঝোর ধারায় তখন কাঁদছে। "আমার মেয়েটার এমন সর্বনাশ হয়ে গেলো আমরা কিচ্ছু করতে পারলাম না।কেমন ছেলের কাছে বিয়ে দিলাম।আজকে বিয়ে বাঁচাতে মেয়েটাকে মনে হয় মেরেই ফেললাম।"...খালার এইসব কথা শুনে রিমির জামাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলো।আমি উনাকে যেয়ে দাঁত চিবিয়ে চিবিয়ে বলতে লাগলাম, "বউ বলে কি রিমির সাথে যা ইচ্ছা করার অনুমতি পায়া গেছেন।ওরে মানুষ মনে হয়না?নিজের বাচ্চারে এভাবে মারতে ঘৃনা হলোনা?" আমি এই কথা বলে সোজা হাসপাতালের বাহিরে চলে আসলাম।আমার কিচ্ছু তখন ভালো লাগছিলোনা।কি অসহ্য এই মানব জীবন।আমরা মানুষগুলো দিন দিন কেমন যেন অমানুষ হয়ে যাচ্ছি।আজকে রিমির সাথে যা হয়েছে,সামাজিকতার দায়ে না জানি আর কত মেয়ের সাথে এমন হয়ে চলছে প্রতিদিন।
রাত আটটার দিকে রিমির কেবিনে আমরা সবাই।অতিরিক্ত রক্তপাতের জন্য ওর অবস্থা তখন মুমূর্ষ।সেই সময় পান খেতে খেতে আবির্ভাব ঘটে রিমির শ্বাশুরীর।উনি রিমির কপালে হাত দিয়ে বলেন, "এখুন কিমুন আছে মাইয়া?" খালা কটমট চোখে তাকিয়ে বলেন, "আমি যদি আগে জানতাম আপনারা আমার মেয়ের সাথে এই কাজ করবেন তাহলে..." ।রিমির শ্বাশুরী খালার দিকে তাকিয়ে চোখ কপালে তুলে বলেন, "আমি কি জানতাম আপনার বাসায় আমার পোলা যায়া থাকে?আর মাইয়া তো বড় হইছিলো।তার বুদ্ধি থাকলেইতো পোয়াতি হওয়া লাগতোনা।আমার পোলাটাও যে বেকুব এইটাও খাটি সত্য।" রিমির আসল পিতা ফরিদ সাহেব মহিলার দিকে তাকিয়ে চোখ গরম করে বললো, "আমার স্যান্ডেলটা কিন্তু চামড়ার না প্লাস্টিকের।মুখে পড়লে দাগ যাইবোনা।আমি যদি বুজতাম আগে,আমার মাইয়ারে বিয়া বইতে দিতামনা।আপনার পোলারে থুতু দিয়া আসতাম।" রিমির শ্বাশুরী এই কথার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।তিনি সাথে উঠে উঠে দাঁড়িয়ে গজগজ করতে করতে হাঁটা দিলেন।পিছন থেকে তার ছেলে "আম্মা আম্মা" করে নপুংশকের মত হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে গেলো।
রাত্রি নয়টায় রিমির জ্ঞান কিছুটা ফিরে আসে।সে "আব্বু আব্বু" বলে ডাকা শুরু করে।খালুজান রিমির খাটের পাশে বসে শক্ত করে ওর হাত ধরে আছেন যেন কেউ তার মেয়েকে তার থেকে কেঁড়ে নিতে না পারে।রিমি খালুজানের আঙ্গুলগুলো আস্তে আস্তে দুর্বল ভাবে ধরে মৃদু কন্ঠে খালুকে আরো কাছে আসতে বললো।ওর দুর্বল গলার স্বর আমরা ঠিকই শুনতে পাচ্ছিলাম।কেমন যেন তীব্র হয়ে তা কানে বিঁধছে। "আব্বু তুমি যে আমাকে মার থেকে বেশি ভালোবাসো এটা আমি কিন্তু জানি।তোমার মনে আছে আমি যখন ছোট্ট কালে টাইফয়েড জ্বরে অজ্ঞান হয়ে ছিলাম,তখন তুমি সব কাজ রেখে সারাদিন আমাকে কোলে নিয়ে ঘুরেছিলে?যে ভালোবাসা তুমি আর আম্মু আমাকে দিছো আমি হাজার জনমেও এর ঋণ শোধ করতে পারবোনা।আমি মারা গেলে তুমি কিন্তু আম্মুর অনেক খেয়াল নিবা।তুমি আর ভাইয়া ছাড়া আম্মুজানের কেউ নাই।আর আব্বু আমার বাচ্চাটা খুব সুন্দর হইতো জানো।ওর তো বয়স দুই মাস হয়ে গেছিলো।আমার মনে হতো,ও হালকা নড়াচড়াও করতো।আমি ওর সাথে প্রতিদিন রাতে কত কথা বলছি।গতরাতে ও আমাকে স্বপ্নে বলছিলো আম্মু আমার হার্ট ধুকধুক করে।তুমি বেশি নড়াচড়া কইরোনা ঘুমের সময়।"
আমার খালাখালু অসহায় চোখে রিমির পাশে বসে তার কথা শুনছিলো।রিমি শ্বাস টেনে টেনে এতগুলো কথা অনেক কষ্ট করে কিভাবে বললো জানিনা।আমি নিজের চোখের পানি আটাকাতে পারছিলাম না।সবাই রিমিকে বলছিলো ও যেন চুপ করে থাকে।ওর কিচ্ছু হবেনা।কিন্তু আমি জানতাম,অনেক আগেই জানতাম এই নোংরা পৃথিবী ওর জন্য না।
আমার জানাটা মিথ্যা ছিলোনা।রাত তিনটায় রিমি মারা যায়।দিনটি ছিলো ১৯শে অক্টোবর,২০০৮।মারা যাওয়ার আগে সে শেষবার আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলো, "ভাইয়া আমার বাবুর কাছে যাচ্ছিরে"। আমি এখনও রিমিকে অনেক মনে করি।আমার বোনটা কোথায় আছে,কেমন আছে জানিনা।কিন্তু আমি সবসময় প্রার্থনা করি যেন আমার সকল পুণ্য ও আর ওর অনাগত সন্তানটি পায়।ওর স্বামীকে আমরা কখনো ক্ষমা করিনি।অবশ্য সেও রিমিকে কবর দেয়ার পর থেকে কখনো আর আমাদের সামনে মুখ দেখায়নি।শুনেছি ভদ্রলোক(?) এখন সুইডেনে আছে।আরেকটা বিয়ে যে করেছে এটা না বললেও চলে। আর আমার মুনিয়া খালা সারাদিন তার বাসার বারান্দায় বসে থাকেন।কারো সাথে তেমন কথা বলেননা।শুধু আমি বাসায় গেলে আমার হাত ধরে জিজ্ঞেস করেন,"তোরা সব এমন কেন?"।এরপর কান্নাকাটি করেন অনেক, যা আমি সহ্য করতে পারিনা বলে নিজেই দুফোঁটা চোখের জল ফেলে বাসা থেকে বের হয়ে আসি।পিছনে শুনতে পাই আমার খালু গম্ভীর কন্ঠে বলতে থাকেন, "কাইদোনা মুনিয়া।আমার মেয়েটা কষ্ট পাবে"।
[লিখায় বর্ণিত ভ্রুণহত্যার ঘটনাটি কল্পিত নয়।নামগুলো আর কিছু চরিত্র পালটে দিয়েছি।গল্পের রিমি মারা গেলেও বাস্তবের রিমি বেঁচে আছে।কিন্তু যে মানসিক যাতনার সে স্বীকার হয়েছে তাকে বেঁচে থাকা বলে কিনা বলতে পারছিনা।তার গুণধর স্বামীও তাই পার পেয়ে গেছেন এবং আপাতত ইউরোপে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছেন।Abortion এর জন্য আমাদের দেশে অনেক মায়ের মৃত্যু ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।আমার জানামতে ব্যাপারটা খুবই কমন।এই লেখাটা সেই মা আর তাদের অনাগত সন্তানের জন্য।আরো বলে নিচ্ছি গল্পতে বর্ণিত অর্ক আমি নই।অর্ক সেই মানুষটি যার থেকে পুরো ব্যাপারটি জানা গেছে।রিমি ও তার অনাগত সন্তানের জন্য সবাই আশা করি একবারের জন্য হলেও প্রার্থনা করবেন।লেখার সময় আমার নিজের প্রতি বেশ ঘৃণাবোধ হয়েছে।কারণ এই নোংরা সমাজের আমিও এক অংশ।] ********************************************************************
সূত্র-আর্ক
আসল কথায় ফিরে আসি।আমি খালার ফোন ধরে সালাম দিতেই খালা কান্না কান্না কন্ঠে আমাকে অনেকগুলো কথা একসাথে বলতে লাগলেন।অস্পষ্টভাবে যা বললেন তাতে আমি যা বুঝলাম তা হলো,রিমি হাসপাতালে।আজকে ওর abortion করা হয়েছে।সমস্যা হয়েছে ওর জ্ঞান এখনো ফেরেনি।
রিমির পরিচয় দেয়া দরকার।রিমি আমার খালার পালিত কন্যা।ওকে দত্তক নেয়ার ঘটনাটা খুবই বিচিত্র।খালার সন্তান মারা যাওয়ার পর খালা একটু কেমন যেন হয়ে গিয়েছিলেন।তখন ঘরের কাজের জন্য একজন বুয়া রাখা হয়।বুয়ার মাসখানেক আগে একটা মেয়ে হয়েছিলো।খালা বুয়ার বাচ্চাকে নিজের খাটে শুইয়ে ঘুম পাড়াতেন,কোলে নিয়ে রাখতেন,এমনকি খাইয়েও দিতেন।খালু এই ব্যাপার নিয়ে মহা পেরেশান ছিলেন।আমার আম্মাকে প্রায় বলতেন "আপা বুয়ার বাচ্চার জন্য আমি আজকাল ঘুমাইতে পারিনা,আমাকে আপনার বোন সোফায় ঘুমাইতে বলে নিজে বাচ্চারে আমাদের খাটে রেখে দেয়।বলেনতো এইটা কিছু হইলো?"।
দুঃখজনকভাবে বুয়া কাজ করার দুইমাস পরে তার শরীরে লিউকিমিয়া ধরা পড়ে।খালা শুধু বুয়ার কন্যাসন্তানটির জন্য হলেও বুয়ার অনেক চিকিৎসা করিয়েছিলেন।কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর কয়েকঘন্টা আগে হঠাৎ করে বুয়া খুব হাসতে শুরু করে।একসময় খালার হাত ধরে বলে,"আপনে কিন্তু ওর মা আছেন,আপনারে কীরা দিয়া গেলাম"। আমার মমতাময়ী খালা এভাবেই রিমিকে পান। রিমি আর আমার বয়স প্রায় সমান।খুব বেশি হলে বছরখানেক ছোট হবে।ওর আপন মা মারা যাওয়ার পর খালা কখনো ওকে এতটুকু কষ্ট দিয়ে মানুষ করেননি।আমরা এবং খালার আত্নীয়স্বজনদেরকে খালা প্রথমেই বলে দিয়েছিলেন,উনাকে যদি কেউ আপন মনে করে তাহলে এই বাচ্চাকেও আপন ভেবে নিতে হবে।একবার আমার এক মামা কিছু একটা বলেছিলেন,মুনিয়া খালা চোখের পানি নাকের পানি এক করে তাকে ত্যাজ্য করেন।ওই মামা পরে রিমির জন্য ১০ কেজি চমচম কিনে খালার বাসায় রওনা হোন।খালা তো তার দরজা খুলেননা কোনভাবেই।পরে খালুজান অনেক কষ্টে খালাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে মামার সাথে ভাব করায় দেন।খালা শর্ত দিছিলেন,মামা যেন তার বাসায় কখনো মিষ্টি ছাড়া না আসে।আমরাও মামার বদৌলতে প্রায়ই চমচম খেয়ে তৃপ্তিভরা ঢেঁকুর তুলতাম।উল্লেখ্য রিমির প্রিয় খাবার ছিলো চমচম।
সবই ঠিক ছিলো,শুধু সমস্যা ছিলো খালুজান।খালা মনে করতেন খালুজান রিমিকে আপন মেয়ের মত ভালোবাসেননা।যদিও রিমি কখনো অভিযোগ করেনি,বরং খালুর সাথে দেখতাম তার বেশ ভালোই ভাব।খালু তার এই পালক কন্যাকে কখনো একবারের জন্যও সামান্য ধমক দেয়নি।তবুও খালা রিমিকে নিয়ে খালুজানকে প্রায়ই বকাঝকা করতেন।
সেই রিমির চার মাস আগে আকদ হয়ে গেছে আর আজকে কি ভয়ঙ্কর কথা শুনলাম।আমি খালাকে হাসপাতালের নাম জেনে এখুনি আসছি কথা দিয়ে ফোন রাখলাম।এর এক ঘন্টা পর আমি মনোয়ারা হাসপাতালে রিমির কেবিনের পাশের খোলা বারান্দায় দাঁড়ানো।আমার পাশে রিমির জামাই মুখ কাঁচুমাঁচু করে বসে আছে।আমি তাকে মুখ গম্ভীর করে জিজ্ঞেস করলাম, abortion এর সিদ্ধান্ত কেন নিলো! উনি আমার দিকে অস্বস্তি নিয়ে তাকিয়ে বললো, "এখনো তো ঘরে তুলে নেইনি।আম্মা বলছে অনুষ্ঠান করে বউ ঘরে নেবেন।তাই অনুষ্ঠানের আগে বাচ্চা হয়ে গেলে সমস্যা।এইজন্যই আর কি..."।আমি এহেন জবাব শুনে হতভম্ব হয়ে গেলাম।তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেও আর ইচ্ছা হলোনা।খালা আর খালুর পাশে যেয়ে দাঁড়ালাম। খালা তখন অঝোরে কাঁদছে মেয়ের পাশে বসে।খালু খালার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন চুপ করে।আমাকে দেখে খালা কাছে টেনে এনে বসালেন।তারপর কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, "তোমার খালুজানরে জিজ্ঞেস করো সে কেন কিছু করলোনা।এখন আমার সাথে আহলাদ দেখায় বলে মেয়ের কিছু হবেনা।কোনদিন এই লোক মেয়েটাকে নিজের মেয়ে ভাবেনাই।" খালু আস্তে আস্তে মাথা নাড়ায় বলে, "আমি কি করবো?তোমার মেয়ের জামাই এমন সিদ্ধান্ত নিলে ওদের মধ্যে আমি কি কিছু বলার হক রাখি?" খালা এবার রেগে গেলো, "তুমি আমার সামনে থেকে দূর হও।তোমার মুখ দেখাও পাপ"। খালু আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষন,তারপর কেবিনের বাহিরে হাঁটা দিলো।খালা আমাকে এরপর জিজ্ঞেস করলো,নাস্তা করছি নাকি।হালকা পাতলা কথা বললো।
এর একটু পর রিমির প্রথমবারের মত সেদিন জ্ঞান ফিরলো।খালা হন্তদন্ত হয়ে রিমির মাথার কাছে যেয়ে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, "মা এখন কেমন লাগতেছে?ব্যাথা আছে?"। রিমি একটা কেমন অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে খালার দিকে তাকালো।তারপর খেব মৃদু কন্ঠে বললো, "আম্মু ভাইয়াকে অনেকদিন পর দেখলাম।ও তো বোনের কথা একবারও ভাবেনা।" আমি রিমির দিকে হাসি দিয়ে তাকিয়ে বললাম, "সময় পাইনারে।বাসাতেও আজকাল থাকিনা তেমন"। রিমির চোখ দিয়ে দেখলাম টপ টপ করে পানি পড়ছে।আমাকে কান্না কান্না গলায় বললো, "ভাইয়া জানিস ডাক্তার না মানা করছিলো বাচ্চাটাকে না মারতে,আমি সকালে আসলে ডাক্তার আমাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখায় আমার বাচ্চার ছোট্ট মুখখানা,তার হৃদপিন্ডের ধুক ধুক শুনায়।জানিস ভাইয়া অনেক ছোট্ট ছোট্ট হাত ছিলো।এমন কেন হলো রে?আমার বাচ্চাটা কি কোনদিন আমাকে মাফ করবেরে ভাইয়া?আমি অনেক কাঁদছিলাম যেন বাচ্চাটাকে না মারে,কিন্তু আমার কথা কেউ শুনেনাই।ভাইয়া আমার বাচ্চাটা এখন কই আছে বলতো?বেহেশতে না ভাইয়া?"
আমি চোখের পানি ঢাকার জন্য কেবিনের বাহিরে চলে আসি।পিছনে শুনলাম খালা অঝোরে কাঁদছে।বাহিরে এসে শার্টের কোনা দিয়ে চোখ মুছে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ।একটু স্বাভাবিক হলে পিছন ফিরে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পেলাম।আমার খালুজান হাসপাতালের করিডোরের আরেক পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে।আমি উনার কাছে আস্তে আস্তে হেঁটে গেলাম।দেখলাম উনি রিমির আসল বাবা ফরিদ উদ্দিন সাহেবের কাঁধে হাত দিয়ে কান্নাভেজা চোখে এক গাদা কথা বলছেন। "বুঝলা ফরিদ আমার মেয়েটাকে যখন স্কুল থেকে নিয়ে আসতাম তখন প্রায় সে মিস্টির দোকানের দিকে তাকিয়ে থাকতো।প্রতিদিন আমরা মিস্টির দোকানে যেয়ে একসাথে চমচম খেতাম।ওর জন্য প্রতিরাতে চমচম কিনে আনতাম।ওর মা ঘুমায় থাকতো,তখন আমি ওকে কোলে করে নিয়ে বারান্দায় ঘুরতাম আর মিস্টি ভেঙ্গে ভেঙ্গে মুখে দিতাম।ও আমার কোলেই খেতে খেতে ঘুমায় পড়তো।আজকে আমার এই মামুনীটা এভাবে হাসপাতালে শুয়ে আছে আর আমি ওর জন্য কিছু করতে পারছিনা।" ফরিদ সাহেব মাথা নিচু করে খালুজানের পিঠে হাত বুলিয়ে দিইয়ে বললো, "কাইন্দেন না।আমাগো মাইয়ার কিছু হইবোনা।"
আমি এই দুই অশ্রসজল পিতার ভালোবাসার দৃশ্য কিছুক্ষণ দেখলাম।কিছু সময় মানুষ অনুভূতিহীন হয়ে যায়।আমারো ঠিক এই মুহূর্তে এমনটাই মনে হচ্ছিলো।কত কথা মনে পড়ে গেলো।আমার এস.এস.সি,এইচ.এস.সি পরীক্ষার সময় রিমি প্রতিদিন বাসায় এসে এটা-ওটা রান্না করতো।আমাকে বলতো, "আমার ভাইয়া হলো সবসময় ফাস্ট।তাই এখন পরীক্ষার জন্য ওর খাবারও হবে ফাস্টক্লাস।" আমি এসব ভাবতে ভাবতে মনে মনে বললাম , "বোনরে আমি কোনদিন ফাস্ট হইতে পারিনাই।কিন্তু তুই সবসময় বোন হিসেবে আমার কাছে ফাস্ট ছিলি"।
আরেকবার চোখে পানি মুছতে মুছতে খালার চিৎকার শুনতে পারলাম।আমি হুড়মুড় করে কেবিনের দিকে দৌড় দিলাম।দেখি রিমির শরীর কেমন কুঁকড়িয়ে যাচ্ছে।হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকলাম।ডাক্তার ডেকে আনা হলো।রিমির জামাই আফসার সাহেব ছুটাছুটি করতে থাকলেন।ডাক্তার সবাইকে রুম থেকে বাহিরে যেতে বললে আমরা কেবিনের বাহিরে জমায়েত হলাম।আমার খালা অঝোর ধারায় তখন কাঁদছে। "আমার মেয়েটার এমন সর্বনাশ হয়ে গেলো আমরা কিচ্ছু করতে পারলাম না।কেমন ছেলের কাছে বিয়ে দিলাম।আজকে বিয়ে বাঁচাতে মেয়েটাকে মনে হয় মেরেই ফেললাম।"...খালার এইসব কথা শুনে রিমির জামাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলো।আমি উনাকে যেয়ে দাঁত চিবিয়ে চিবিয়ে বলতে লাগলাম, "বউ বলে কি রিমির সাথে যা ইচ্ছা করার অনুমতি পায়া গেছেন।ওরে মানুষ মনে হয়না?নিজের বাচ্চারে এভাবে মারতে ঘৃনা হলোনা?" আমি এই কথা বলে সোজা হাসপাতালের বাহিরে চলে আসলাম।আমার কিচ্ছু তখন ভালো লাগছিলোনা।কি অসহ্য এই মানব জীবন।আমরা মানুষগুলো দিন দিন কেমন যেন অমানুষ হয়ে যাচ্ছি।আজকে রিমির সাথে যা হয়েছে,সামাজিকতার দায়ে না জানি আর কত মেয়ের সাথে এমন হয়ে চলছে প্রতিদিন।
রাত আটটার দিকে রিমির কেবিনে আমরা সবাই।অতিরিক্ত রক্তপাতের জন্য ওর অবস্থা তখন মুমূর্ষ।সেই সময় পান খেতে খেতে আবির্ভাব ঘটে রিমির শ্বাশুরীর।উনি রিমির কপালে হাত দিয়ে বলেন, "এখুন কিমুন আছে মাইয়া?" খালা কটমট চোখে তাকিয়ে বলেন, "আমি যদি আগে জানতাম আপনারা আমার মেয়ের সাথে এই কাজ করবেন তাহলে..." ।রিমির শ্বাশুরী খালার দিকে তাকিয়ে চোখ কপালে তুলে বলেন, "আমি কি জানতাম আপনার বাসায় আমার পোলা যায়া থাকে?আর মাইয়া তো বড় হইছিলো।তার বুদ্ধি থাকলেইতো পোয়াতি হওয়া লাগতোনা।আমার পোলাটাও যে বেকুব এইটাও খাটি সত্য।" রিমির আসল পিতা ফরিদ সাহেব মহিলার দিকে তাকিয়ে চোখ গরম করে বললো, "আমার স্যান্ডেলটা কিন্তু চামড়ার না প্লাস্টিকের।মুখে পড়লে দাগ যাইবোনা।আমি যদি বুজতাম আগে,আমার মাইয়ারে বিয়া বইতে দিতামনা।আপনার পোলারে থুতু দিয়া আসতাম।" রিমির শ্বাশুরী এই কথার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।তিনি সাথে উঠে উঠে দাঁড়িয়ে গজগজ করতে করতে হাঁটা দিলেন।পিছন থেকে তার ছেলে "আম্মা আম্মা" করে নপুংশকের মত হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে গেলো।
রাত্রি নয়টায় রিমির জ্ঞান কিছুটা ফিরে আসে।সে "আব্বু আব্বু" বলে ডাকা শুরু করে।খালুজান রিমির খাটের পাশে বসে শক্ত করে ওর হাত ধরে আছেন যেন কেউ তার মেয়েকে তার থেকে কেঁড়ে নিতে না পারে।রিমি খালুজানের আঙ্গুলগুলো আস্তে আস্তে দুর্বল ভাবে ধরে মৃদু কন্ঠে খালুকে আরো কাছে আসতে বললো।ওর দুর্বল গলার স্বর আমরা ঠিকই শুনতে পাচ্ছিলাম।কেমন যেন তীব্র হয়ে তা কানে বিঁধছে। "আব্বু তুমি যে আমাকে মার থেকে বেশি ভালোবাসো এটা আমি কিন্তু জানি।তোমার মনে আছে আমি যখন ছোট্ট কালে টাইফয়েড জ্বরে অজ্ঞান হয়ে ছিলাম,তখন তুমি সব কাজ রেখে সারাদিন আমাকে কোলে নিয়ে ঘুরেছিলে?যে ভালোবাসা তুমি আর আম্মু আমাকে দিছো আমি হাজার জনমেও এর ঋণ শোধ করতে পারবোনা।আমি মারা গেলে তুমি কিন্তু আম্মুর অনেক খেয়াল নিবা।তুমি আর ভাইয়া ছাড়া আম্মুজানের কেউ নাই।আর আব্বু আমার বাচ্চাটা খুব সুন্দর হইতো জানো।ওর তো বয়স দুই মাস হয়ে গেছিলো।আমার মনে হতো,ও হালকা নড়াচড়াও করতো।আমি ওর সাথে প্রতিদিন রাতে কত কথা বলছি।গতরাতে ও আমাকে স্বপ্নে বলছিলো আম্মু আমার হার্ট ধুকধুক করে।তুমি বেশি নড়াচড়া কইরোনা ঘুমের সময়।"
আমার খালাখালু অসহায় চোখে রিমির পাশে বসে তার কথা শুনছিলো।রিমি শ্বাস টেনে টেনে এতগুলো কথা অনেক কষ্ট করে কিভাবে বললো জানিনা।আমি নিজের চোখের পানি আটাকাতে পারছিলাম না।সবাই রিমিকে বলছিলো ও যেন চুপ করে থাকে।ওর কিচ্ছু হবেনা।কিন্তু আমি জানতাম,অনেক আগেই জানতাম এই নোংরা পৃথিবী ওর জন্য না।
আমার জানাটা মিথ্যা ছিলোনা।রাত তিনটায় রিমি মারা যায়।দিনটি ছিলো ১৯শে অক্টোবর,২০০৮।মারা যাওয়ার আগে সে শেষবার আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলো, "ভাইয়া আমার বাবুর কাছে যাচ্ছিরে"। আমি এখনও রিমিকে অনেক মনে করি।আমার বোনটা কোথায় আছে,কেমন আছে জানিনা।কিন্তু আমি সবসময় প্রার্থনা করি যেন আমার সকল পুণ্য ও আর ওর অনাগত সন্তানটি পায়।ওর স্বামীকে আমরা কখনো ক্ষমা করিনি।অবশ্য সেও রিমিকে কবর দেয়ার পর থেকে কখনো আর আমাদের সামনে মুখ দেখায়নি।শুনেছি ভদ্রলোক(?) এখন সুইডেনে আছে।আরেকটা বিয়ে যে করেছে এটা না বললেও চলে। আর আমার মুনিয়া খালা সারাদিন তার বাসার বারান্দায় বসে থাকেন।কারো সাথে তেমন কথা বলেননা।শুধু আমি বাসায় গেলে আমার হাত ধরে জিজ্ঞেস করেন,"তোরা সব এমন কেন?"।এরপর কান্নাকাটি করেন অনেক, যা আমি সহ্য করতে পারিনা বলে নিজেই দুফোঁটা চোখের জল ফেলে বাসা থেকে বের হয়ে আসি।পিছনে শুনতে পাই আমার খালু গম্ভীর কন্ঠে বলতে থাকেন, "কাইদোনা মুনিয়া।আমার মেয়েটা কষ্ট পাবে"।
[লিখায় বর্ণিত ভ্রুণহত্যার ঘটনাটি কল্পিত নয়।নামগুলো আর কিছু চরিত্র পালটে দিয়েছি।গল্পের রিমি মারা গেলেও বাস্তবের রিমি বেঁচে আছে।কিন্তু যে মানসিক যাতনার সে স্বীকার হয়েছে তাকে বেঁচে থাকা বলে কিনা বলতে পারছিনা।তার গুণধর স্বামীও তাই পার পেয়ে গেছেন এবং আপাতত ইউরোপে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছেন।Abortion এর জন্য আমাদের দেশে অনেক মায়ের মৃত্যু ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।আমার জানামতে ব্যাপারটা খুবই কমন।এই লেখাটা সেই মা আর তাদের অনাগত সন্তানের জন্য।আরো বলে নিচ্ছি গল্পতে বর্ণিত অর্ক আমি নই।অর্ক সেই মানুষটি যার থেকে পুরো ব্যাপারটি জানা গেছে।রিমি ও তার অনাগত সন্তানের জন্য সবাই আশা করি একবারের জন্য হলেও প্রার্থনা করবেন।লেখার সময় আমার নিজের প্রতি বেশ ঘৃণাবোধ হয়েছে।কারণ এই নোংরা সমাজের আমিও এক অংশ।] ********************************************************************
সূত্র-আর্ক
সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০১০
একজন কলগার্ল
ছোট্ট বাবুর ক্লাসে নতুন শিক্ষিকা মিস মিলি এসেছেন। তিনি প্রথমেই সকলের সঙ্গে পরিচিত হবেন। কাজেই বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে বললেন, 'ছোট্ট সুজি, তোমার বাবা মা কী করেন?'
'আমার বাবা একজন বিজ্ঞানী, আর মা একজন ডাক্তার।'
মিষ্টি হেসে মিস মিলি বললেন, 'ছোট্ট টুনি, তোমার বাবা মা কী করেন?'
'আমার বাবা একজন শিক্ষক, আর মা একজন উকিল।'
'বাহ! ছোট্ট বাবু, তোমার বাবা মা কী করেন?'
বাবু বলল, 'আমার বাবা মারা গেছেন, আর মা একজন কলগার্ল।'
মিস মিলি রেগে আগুন হয়ে প্রিন্সিপালের কাছে পাঠালেন বাবুকে। মিনিট পাঁচেক পর ছোট্ট বাবু ফিরে এল।
'তুমি প্রিন্সিপালকে বলেছ, তুমি আমার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছ?'
'জ্বি মিস।' বলল বাবু।
'তিনি কী বললেন?'
'বললেন, আমাদের সমাজে কোনও কাজই তুচ্ছ নয়। তারপর আমাকে একটা আপেল খেতে দিলেন, আর বাসার ফোন নাম্বার লিখে রাখলেন।
'আমার বাবা একজন বিজ্ঞানী, আর মা একজন ডাক্তার।'
মিষ্টি হেসে মিস মিলি বললেন, 'ছোট্ট টুনি, তোমার বাবা মা কী করেন?'
'আমার বাবা একজন শিক্ষক, আর মা একজন উকিল।'
'বাহ! ছোট্ট বাবু, তোমার বাবা মা কী করেন?'
বাবু বলল, 'আমার বাবা মারা গেছেন, আর মা একজন কলগার্ল।'
মিস মিলি রেগে আগুন হয়ে প্রিন্সিপালের কাছে পাঠালেন বাবুকে। মিনিট পাঁচেক পর ছোট্ট বাবু ফিরে এল।
'তুমি প্রিন্সিপালকে বলেছ, তুমি আমার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছ?'
'জ্বি মিস।' বলল বাবু।
'তিনি কী বললেন?'
'বললেন, আমাদের সমাজে কোনও কাজই তুচ্ছ নয়। তারপর আমাকে একটা আপেল খেতে দিলেন, আর বাসার ফোন নাম্বার লিখে রাখলেন।
রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০১০
শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০১০
ট্রাফিক সার্জেন্ট
. জর্জ আর জেনী খুব ভাল বন্ধু। এরা দুই জন দুই শহরে কাজ করে। একজনের ছুটি শনিবার আরেকজনের রবিবার। ফলে দুই জনের এক সাথে দেখা হওয়া খুব দুস্কর। এবার পহেলা মে তে দুই জনের এক সাথে ছুটি। জর্জ তার গাড়ী নিয়ে জেনীকে আনতে চলে গেল। গাড়ীতে দুইজনের মনে ভালবাসার উদয় হল। যেহেতু মাত্র একদিনের ছুটি তাই তারা ঠিক করল এক মুহূর্তও নষ্ট করা ঠিক হবে না। কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানো যাক। কিন্তু গাড়ীটা ছিল খুবই ছোট। দুই জনে মিলে ঠিক করল গাড়ীর নীচের ফাঁকা জায়গায় ঢুকে পড়া যাক। নীচে বেশ জায়গা আছে আর কেউ বিরক্ত ও করবে না।
অনেকক্ষণ পর জর্জের খেয়াল হল কে যেন তাকে ডাকছে। লোকটি ছিল ট্রাফিক সার্জেন্ট।
লোকটি বলছে- ভাই আপনি কি করছেন।
জর্জ তার দিকে না তাকিয়েই উত্তর দেয়-গাড়ী ঠিক করছি।
সার্জেন্ট কিছুক্ষণ কি যেন চিন্তা করেন। তারপর গম্ভীর মুখে বলে উঠেন-দুই টা কারণে আমি আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছি না। প্রথমত গাড়ী ঠিক করতে হলে আপনাকে চিৎ হযে থাকতে হবে। কিন্তু আপনি উপুর হয়ে আছেন।
দ্বিতীয়ত আমি এখানে কোন গাড়ী দেখতে পাচ্ছি না। খুব সম্ভবত আপনাদের গাড়ীটি চুরি হয়ে গেছে।
অনেকক্ষণ পর জর্জের খেয়াল হল কে যেন তাকে ডাকছে। লোকটি ছিল ট্রাফিক সার্জেন্ট।
লোকটি বলছে- ভাই আপনি কি করছেন।
জর্জ তার দিকে না তাকিয়েই উত্তর দেয়-গাড়ী ঠিক করছি।
সার্জেন্ট কিছুক্ষণ কি যেন চিন্তা করেন। তারপর গম্ভীর মুখে বলে উঠেন-দুই টা কারণে আমি আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছি না। প্রথমত গাড়ী ঠিক করতে হলে আপনাকে চিৎ হযে থাকতে হবে। কিন্তু আপনি উপুর হয়ে আছেন।
দ্বিতীয়ত আমি এখানে কোন গাড়ী দেখতে পাচ্ছি না। খুব সম্ভবত আপনাদের গাড়ীটি চুরি হয়ে গেছে।
ভ্রুণহত্যা, বিড়ালহত্যা কিংবা মধ্যবিত্ত নিতিদিন
তন্দ্রার মনযোগ ভাঙে দূরের একটি ট্রাকের গর্জনে। সে মৃদু আলোর দিকে তাকায়,
খানিকটা দূরে, ট্রাকের আলোয় রাস্তার মাঝখানে শুয়ে থাকা একটি বিড়াল স্পষ্ট হয়।
সম্ভবত প্রচণ্ড গরমের কারণেই বিড়ালটি এমনভাবে রাস্তায় বসে আছে একটু খোলা
হাওয়ায় শীতল হবে বলে। বিড়ালটিকে তন্দ্রার আদর করতে ইচ্ছে করে, ভাবতে ভাবতে
ক্ষিপ্রগতিতে ছুটে আসা দূরের ট্রাকটি মুহূর্তেই বিড়ালটিকে চাকায় পিষ্ট করে
আঁধার করে দিয়ে যায়। ল্যাম্পপোস্টের নিচে পড়ে থাকে ২৫০ ভোল্ট বাতির মৃদু আলো।
বিড়ালটির মৃত্যু তন্দ্রার ভারাক্রান্ত মনে একটু বড়সড় ধাক্কা দেয়, একি তবে বড়
কোন দুর্ঘটনার আভাস।
সুপ্ত'র সঙ্গে তন্দ্রার প্রেম করে বিয়ে হয়নি। ওদের বিয়েটা হয়েছিল
পারিবারিকভাবেই তবে বিয়ের আগেই তারা একে অপরকে দেখেছিল কয়েকবার। কলেজ
ক্যাম্পাসে দু'জনের প্রথম কথা হয়। লেকের ধারে বসে দীর্ঘক্ষণ নিরবতা শেষে
তন্দ্রার হাতে সুপ্তর স্পর্শ যেনো একরাশ কথার সজীবতা দিয়ে যায়। তারপর এই
সংসার; বিয়ের সময় অবশ্য তার দু'একজন বিবাহিত বান্ধবী পরামর্শ দিয়েছিল দেখিস,
পুরুষ মানুষের মন একটু বুঝে শুনে চলিস, সবকথা পুরুষকে বলতে নেই, সবকথা
পুরুষের ধাতে সয় না। কথাটি তন্দ্রার মূর্খ সংস্কৃতি মনে হয়, সবকথাই যদি বলা
না যায় তবে আর দুয়ের বন্ধন কেন!
ভাবতে ভাবতে রাত্রি দ্বি-প্রহর অতিক্রান্ত হয়েছে, তন্দ্রার চোখে ঘুম নেই, ঘুম
আসছেও না। ফলে দোতলার উত্তর দিকের জানালা খুলে দিয়ে সে বড় রাস্তার মৃদু আলোর
দিকে তাকিয়ে আছে। এ সময়ও হঠাৎ হঠাৎ মৃদু আলোয় মানুষের আসা-যাওয়া প্রত্যক্ষ হয়
আবার কখনও কখনও মালবাহী দু'একটি ট্রাকের গর্জন মনযোগ ভাঙে। এই তো ক্ষাণিক আগে
রাস্তার একটি বিড়ালকে চাপা দিয়ে গেছে একটি ট্রাক। ট্রাকের ড্রাইভারটি নিশ্চয়ই
একজন মানুষ কিন্তু কেমন মানুষ। এরকম ফাঁকা রাস্তায় কেউ এভাবে বিড়ালটিকে হত্যা
করতে পারে, নিজের কাছেই প্রশ্ন করে তন্দ্রা।
সুপ্ত সকালবেলা নাস্তা করে বেরিয়ে গেছে অফিসে, এখনও ফেরেনি। সবেমাত্র তিন-চার
মাস অতিক্রান্ত হয়েছে ওদের বিয়েরকাল। এখনি সুপ্তর মন বাইরে চলে গেছে, খুব
সাধারণ একজন মেয়ের মতো সেও এইকথা ভাবে। অথচ জীবনটাকে খুব সহজ করে নিয়েছিল সে
নিজের মতো। সারাটা জীবন কি তবে এভাবেই কাটাতে হবে, খুব আফসোস হয় তন্দ্রার।
তার বিবাহিত বান্ধবীদের কথা মনে পড়ে। ওদের কারও কারও বিয়ের বয়স তিন-চার বছর
পেরিয়ে গেছে তবু ওদের স্বামী সম্পর্কে মধুর কথা শোনে নিজেকে দুর্ভাগ্যবতী মনে
হয়। তার কষ্টটা বাইরে প্রকাশ করার মতো নয় নিজে কাছে সওয়া ছাড়া। কাকে বলবে সে,
সেই একটি ঘটনাই তাকে বারবার অবদমিত করে রাখে। কেন সে এমনটি করেছিল তার আজ কোন
যুক্তি খুঁজে পায় না। আজ তো জীবনের মানেই অন্যরকম বোধ হচ্ছে। নিজের কাছেই
নিজেকে আরও বেশি অপরাধী মনে হয়। তার কিবা দোষ ওটা তো বয়সজনিত ঘটনা, তাছাড়া সে
নিজেও বুঝতে পারেনি কিভাবে ওটা ঘটেছিল। আজ বুঝে, ওরকম আবেগ ও বিশ্বাস কখনও
কখনও ভাল নয়। পুরনো স্মৃতি তাকে ভারাক্রান্ত করে, কখন যে অতীতমন্থনে ডুবে যায়
তার মন সে নিজেও জানে না। একটি মুখোশ তার দিকে স্পষ্ট হয়ে এগিয়ে আসতে থাকে।
সে রাগে, দুঃখে মনে মনে ভাবে মুহূর্তেই আগুন জ্বালিয়ে দেবে মুখোশটির শরীরে,
কেন ওভাবে তাকে প্ররোচিত করেছিল।
ক্রমশ মুখোশটি অস্পষ্ট হতে হতে আবার ভেসে ওঠে বান্ধবীদের মুখ। আজ তাদের কথাই
সত্যি মনে হয় নইলে সেই ঘটনাটি শোনার পর থেকে সুপ্ত এত মনমরা হয়ে আছে কেন।
তন্দ্রার চোখে ঘুম এসে গিয়েছিল, আধোঘুমের লেশলাগা চোখেই সে রাস্তার দিকে
তাকায় এবং মুহূর্তেই তন্দ্রালু চোখ ভেঙে দিব্যজগতে ফিরে আসে সে। সুপ্তর আগমন
দৃশ্যটি আজ তার কাছে অন্যরকম মনে হয়। সুপ্ত কি আজ মাতাল হয়ে ঘরে ফিরছে।
সাধারণত এ অবস্থায় পুরুষরা মদটদ খেয়ে মাতাল হয়ে ঘরে ফিরে। কলিংবেল বেজে ওঠার
আগেই সে নিচে গিয়ে দরজা খুলে দেয়, স্বচ্ছ হয়ে ওঠে সুপ্তর মুখ; কান্ত,
তন্দ্রালু আর হাজার প্রশ্নের বাণ যেন চোখ বেয়ে নেমে আসে তন্দ্রার দিকে। তার
ভীত শরীর হাল্কা গরম আর ভয়ার্ত প্রতিবেশে ঘামতে শুরু করেছে। সুপ্ত কোন কথা না
বলে ভেতরে প্রবেশ করে, দরজা বন্ধ করে পেছনে পেছনে দোতলায় ওঠে তন্দ্রা।
ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে কোট-টাই খুলে সুপ্ত। তন্দ্রার
ইচ্ছা হয়, প্রতিদিনের মতো আজো কোট-টাই খুলে দিতে কিন্তু সাহস হয় না। কোন এক
অক্টোপাস যেন শীতল করে রেখেছে তার হাত-পা-মুখ। হাল্কা ট্রাউজার পরে বাথরুমে
প্রবেশ করে সুপ্ত। ক্ষাণিক পর ফ্রেশ হয়ে ফিরে আসে কিন্তু তার চোখে-মুখে
হাল্কা কান্তির ছাপ রয়ে গেছে, আয়নায় চুল আঁচড়িয়ে বিছানার দিকে যায় এমন সময়
কথা ফোটে তন্দ্রার।
টেবিলে খাবার দেয়া হয়েছে, খাবে চল।
খাব না, বলেই সুপ্ত বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে পড়ে। তন্দ্রার রাতের খাবার খাওয়া
হয়নি, কথা না বাড়িয়ে সেও বিছানায় গা ছেড়ে দেয়, কিছুক্ষণ ভাবে কিছু জিজ্ঞেস
করবে কিনা? তারপর প্রশ্ন করে...
দুপুরে খেতে এলে না যে?
ইচ্ছে হয়নি, সুপ্তর সহজ উত্তর।
ক'দিন যাবত তুমি এমন করছ, কি এমন দোষ করেছি যে...। তন্দ্রার কথা শেষ হতে না
হতেই সুপ্তর স্বাভাবিক ঝাঁঝালো স্বর...
দেখ, এই মাঝরাতে কোন সিনক্রিয়েট করতে চাই না। যা হয়েছে তা মামুলি বিষয়, খুবই
স্বাভাবিক কিন্তু চেপে রাখা আরও বেশি অস্বাভাবিক। আমাকে তাই করতে হচ্ছে, এরকম
বিপাকে পড়তে হবে কোনদিন ভাবিনি আমি। এত রাতে রুমে বাতি জ্বালানো থাকলে,
বাবা-মা চলে আসতে পারেন। বাতিটা নিভিয়ে দয়া করে একটু শান্তিতে ঘুমোতে দাও।
তন্দ্রা আর কথা বাড়ায় না, ধীরে ধীরে ওঠে বাতিটা নিভিয়ে দেয়। তারপর শেষ রাত্রে
কখন যে ঘুমিয়ে গেছে দু'জন কেউ জানে না।
মন: মনুষ্য ধারাবাহিকতায় একটি জটিল বিষয়। মিরাকল। সে কখন কোথায়-যে যায় তার
কোন ঠিকানা নেই। বিড়াল, বারো ঘরের পাতিলের গন্ধ শুঁকে শেষে উগাড়ের ইঁদুর নিয়ে
যার রাত্রিবাস। এখানেই জীবনের সম্পর্ক জড়িত, আমাদের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত,
উচ্চবিত্ত সবখানেই রয়েছে মনোবিত্ত কিংবা নেই। এই আছে ও নেই এর মধ্যে আমাদের
আজন্ম বসবাস, এই কথা হয়েছে জানা।
সুপ্ত ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু তন্দ্রার চোখে ঘুম নেই। ঘুম আসছে না। নুসরাত আপুর
কথা স্মরণ হয় তার। প্রতিবেশী। বড়বোন শুভ্রার বান্ধবী। বিয়ের কিছুদিন পর হঠাত
একদিন বাড়ির বাঁশঝাড়ে গলায় দড়িবেঁধে আত্মহত্যা করলো সে। সবাই অবাক, নুসরাত
এরকম করলো কেন? পরে, বাড়ির লোকজনের কানাঘুঁষায় আসল ঘটনাটি জেনেছিল তন্দ্রা।
নুসরাত তখন হাইস্কুলের ছাত্রী। ওদের বাড়িতে একজন গৃহশিক্ষক থাকতো। এই
শিক্ষকের সাথেই বাড়ির সকলের অজান্তে নুসরাতের প্রেমের সম্পর্ক হয়ে যায়।
সম্পর্ক এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, একে-অপরের দেহদানে সঠিক হিসেবের অবকাশ
হয়নি কারোর। একসময় অসতর্ক নুসরাত সন্তান সম্ভবা হয়ে যায়। ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে
বাড়ির লোকজন জেনে গেলে কোন একরাতে নুসরাত-কে স্থানিয় এক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে
এবোরশন করিয়ে আনে। ঘটনাটি প্রতিবেশী কেউ বুঝে ওঠার আগেই বাড়ির লোকজন ওই
গৃহশিক্ষক-কে বাড়ি থেকে বিদেয় করে দেয়।
তার বছর পাঁচেকের মধ্যেই বিয়ে হয় নুসরাতের। বিয়েরাতেই বরের কাছে ঘটনাটি
জানিয়ে দিয়েছিল নুসরাত। ঘটনাটি জানার পর ওর বর আর তাকে বউ হিসেবে রাখতে
চায়নি। ফিরতি নাইয়রের নামে নুসরাত-কে বাড়ি রেখে গিয়ে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে
দেয় ওর বর। অসহায় নুসরাত ভেবে কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে শেষমেষ গলায় দড়ি
বেধে আত্মহত্যা করে।
শুভ্রাকে মানুষ বলে মনে হয় না তার। ওইরকম সময়েই তো অহনের সাথে তন্দ্রার
অনেকটা প্রেমের মতোই ঘটনাটি ঘটেছিল। অহন শুভ্রার ভাসুরের ছেলে। সুদর্শন যুবক।
ওইরাতের ঘটনাটি মনে পড়ে তন্দ্রার। শুভ্রার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।
রাতে তন্দ্রা আর অহন একসাথে ছিল। ছেলেটা খুব পাগল, অস্থির আর উত্তেজিত হয়ে
গিয়েছিল। তন্দ্রা নিজেও খুব সম্মোহিত আর চড়ম লোভী হয়ে ওঠেছিল সে রাতে। ভাবতে
ভাবতে খুবই লজ্জাক্রান্ত হয় তন্দ্রা। ঘুমন্ত স্বামীকে পাশে রেখে এসব ভাবতে
ভালো লাগে না তার। তাছাড়া তার চিন্তা ঘুমন্ত সুপ্ত আবার টের পেয়ে যাচ্ছে
নাতো! সে রাতের নিজস্ব আলোয় সুপ্তর দিকে তাকায়। সুপ্ত নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে শুয়ে
আছে। ফ্যানের হালকা বাতাসেও সুপ্তর শরীর মৃদু ঘর্মাক্ত। নাকের ডগায় বিন্দু
বিন্দু জলের স্থির সন্তরণ। জনশ্রুতির কথাটি মনে হয় তার। যে পুরুষের নাক বেশি
ঘামে সে পুরুষ খুব বউ-আদরের হয়। সুপ্তকে আদর করতে ইচ্ছে হয় তার কিন্তু পারে
না। ঘুমন্ত স্বামীকে আদর করে দিতে কেমন যেন গর্হিত অপরাধবোধ আটকে রাখে তাকে।
মনে ভাবে, সুপ্তর মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে ওঠলে ওকে ইচ্ছেমতো আদর করে
প্রমাণ করবে জনশ্রুতির কথাটি আসলেই ঠিক।
অন্ধকারের আলোতেই মুখোশটির অস্তিত্ব টের পায় তন্দ্রা। মুখোশটি তার চারপাশে
ঘুরঘুর করতে থাকে আর প্ররোচিত করতে থাকে। পালিয়ে যা তন্দ্রা, পালিয়ে যা, দূরে
কোথাও। নইলে শান্তি পাবি না। পালাবার এখনই সময়। তন্দ্রা ভাবে সত্যি সত্যি সে
পালিয়ে যাবে কিনা। গেলে কেমন হয়? একেবারে অজানায়, দূরে, অনেক দূরে। নুসরাতের
কথা মনে হয় তন্দ্রার। তারমতো সেও কী দূরে কোথাও গিয়ে আত্মহত্যা করবে নাকি।
আবার ভাবে আত্মহত্যা করবে কেন? সে সুপ্তকে ভালোবাসে আর সুপ্তও তাকে, তাই তার
আত্মহত্যা করা ঠিক হবে না। অস্থির হয়ে ওঠে তন্দ্রা, তার শরীরও ঘামতে থাকে।
মুহূর্তেই সে মুখোশটিকে ধরে ফেলতে চায় কিন্তু ধরতে পারে না। অন্ধকারেই
মুখোশটি একবার তার পাশে আসে... একবার সোফায় গিয়ে বসে... একবার সুপ্তর
কম্পিউটার টেবিলে গিয়ে বসে... একবার জানালার পাশে দাঁড়ায়... একবার বারান্দায়
গিয়ে দাঁড়ায়... মুখোশটিকে সে যেন কিছুতেই ধরতে পারে না। ঘর্মাক্ত তন্দ্রা
বিছানা ছেড়ে টেবিলের দিকে যায়। জগভর্তি পানি থেকে একগ্লাস পানি খায় সে। তারপর
বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। নির্জন রাস্তায় স্ট্রিট লাইটের ২৫০ ভোল্ট বাতির মৃদু
আলো আর ট্রাকচাপায় থেতলে যাওয়া বিড়ালটিকে দেখতে থাকে সে।
সকালে নাস্তার টেবিলে দুজনেই চুপচাপ থাকে যেন একে-অপরকে কেউ চেনে না।
অন্যান্য দিন তন্দ্রা নিজ হাতে ব্রেড-এ জেলি মেখে খেতে দিয়েছে কিন্তু আজ
দিচ্ছে না, নিজেও নিচ্ছে না। হঠাত সুপ্ত উত্তেজিত হয়ে কোনো সিনক্রিয়েট করে
ফেলে সেই ভয়। তন্দ্রা কী রাতে ঘুমিয়েছিল? বোধ হয় না, ওর চোখ দেখে বোঝা যায়।
হয়তবা রাতে কেঁদেও ছিল। নাস্তা সেরে সুপ্ত রমে ফিরে অফিস যাবে বলে প্রস্তুত
হয়েছে, এমন সময় তন্দ্রা এসে সামনে দাঁড়ায়।
তোমার সাথে কথা আছে।
বল, সুপ্ত'র উত্তর।
আমি বাড়ি যাব।
এবার সুপ্ত মনযোগী ভঙ্গিতে আরেকটু সামনে এগিয়ে তন্দ্রার মুখোমুখি হয়।
এখানে কী খারাপ লাগছে? হেভ য়্যু ফিল বোরিং হিয়ার!
এমন একটি সিরিয়াস বিষয়ে সুপ্ত'র হেয়ালিপনার অর্থ তন্দ্রা বুঝতে পারে না, সে
উত্তরহীন তাকায়।
ওকে, ওকে ইফ য়্যু ফিল বোরিং অর ডিজগাস্টিং দেন য়্যু কেন গো বাট নট উইদাউট মি।
আই ওয়ান্ট টু গো উইথ য়্যু ফর রিচড্ এন্ড এ পিচফুল এরেঞ্জমেন্ট ফর য়্যু দেয়ার।
হেভ য়্যু আন্ডারস্ট্যান্ড ডেয়ার অনারেবল মেডাম। এই বলে তন্দ্রার মুখটা
দু'হাতে একটু উঁচিয়ে ধরে নিজের খুব কাছাকাছি এনে সম্মোহনের মতো তাকায় সুপ্ত।
তন্দ্রা কিছু বুঝতে পারে না, সে সুপ্তর দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রথম দিনের মতো,
মহাজাগতিক জিজ্ঞাসার ভঙ্গিতে। ফাঁকে, কখন যে সুপ্ত তার ওষ্ঠে একটা চুম্বন
দৃশ্য এঁকে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়, ঠাহর হয় না তন্দ্রার।
বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে গ্রামের মেয়েরা যে রকম বৃষ্টিতে ভিজে সজীবতা উপভোগ
করে, তন্দ্রাও সেই সজীবতা ফিরে পায়। বুঝতে পারে, কী ভুলটাই না সে করতে
বসেছিল। মতিভ্রমে মানুষের এরকমই হয়। তার মুখে তখনও ভাষা ফুটেনি, ইচ্ছে করে
দৌড়ে গিয়ে সুপ্তকেও সে একটি চুম্বন করে আসে কিন্তু পারে না, প্রথম দিনের মতো
বহুকালের অচেনা বোধ কাজ করে। আজন্ম নারীজনমের লজ্জাবোধ তাকে আটকে রাখে।
অফিসে ফিরেই সুপ্ত নিশ্চিত টেলিফোন করবে, তন্দ্রা জানে। তাই রুমেই থাকে, এদিক
ওদিক ছুটোছুটি করে, বই পড়ে, টেলিভিশন অন করে কিন্তু ভালো লাগে না, সিডি
প্লেয়ার অন করে লোপামুদ্রা মিত্রের গান শোনে 'ছেলেবেলার বৃষ্টি মানেই
আকাশজোড়া...' গরম পড়েছে তবু এই গান খারাপ লাগে না; স্মৃতিমন্থন হয়। ফ্যানটা
ছেড়ে সে উত্তরের জানালাটা পুনরায় খুলে দেয়। খুলতে খুলতে মনে পড়ে বড় রাস্তায়
গতকাল রাতে একটি বিড়াল ট্রাকচাপা পড়েছিল। তার থেতলে যাওয়া চিহ্ন এখনও স্পস্ট
হয়। বিড়ালটির কোনো দোষ ছিল না, সেই ভ্রুণটিরও... পুনরায় তার সেই ছায়াটির কথা
মনে হয় কিন্তু দিনের শ্বেতশুভ্র আলোয় তাকে দেখতে পায় না সে। তন্দ্রা জানে
এবার যদি তাকে সামনে পায় সে নিশ্চিত গলাটিপে হত্যা করবে।
Link - http://shortstory-simanto.blogspot.com/2009/07/blog-post_03.html
খানিকটা দূরে, ট্রাকের আলোয় রাস্তার মাঝখানে শুয়ে থাকা একটি বিড়াল স্পষ্ট হয়।
সম্ভবত প্রচণ্ড গরমের কারণেই বিড়ালটি এমনভাবে রাস্তায় বসে আছে একটু খোলা
হাওয়ায় শীতল হবে বলে। বিড়ালটিকে তন্দ্রার আদর করতে ইচ্ছে করে, ভাবতে ভাবতে
ক্ষিপ্রগতিতে ছুটে আসা দূরের ট্রাকটি মুহূর্তেই বিড়ালটিকে চাকায় পিষ্ট করে
আঁধার করে দিয়ে যায়। ল্যাম্পপোস্টের নিচে পড়ে থাকে ২৫০ ভোল্ট বাতির মৃদু আলো।
বিড়ালটির মৃত্যু তন্দ্রার ভারাক্রান্ত মনে একটু বড়সড় ধাক্কা দেয়, একি তবে বড়
কোন দুর্ঘটনার আভাস।
সুপ্ত'র সঙ্গে তন্দ্রার প্রেম করে বিয়ে হয়নি। ওদের বিয়েটা হয়েছিল
পারিবারিকভাবেই তবে বিয়ের আগেই তারা একে অপরকে দেখেছিল কয়েকবার। কলেজ
ক্যাম্পাসে দু'জনের প্রথম কথা হয়। লেকের ধারে বসে দীর্ঘক্ষণ নিরবতা শেষে
তন্দ্রার হাতে সুপ্তর স্পর্শ যেনো একরাশ কথার সজীবতা দিয়ে যায়। তারপর এই
সংসার; বিয়ের সময় অবশ্য তার দু'একজন বিবাহিত বান্ধবী পরামর্শ দিয়েছিল দেখিস,
পুরুষ মানুষের মন একটু বুঝে শুনে চলিস, সবকথা পুরুষকে বলতে নেই, সবকথা
পুরুষের ধাতে সয় না। কথাটি তন্দ্রার মূর্খ সংস্কৃতি মনে হয়, সবকথাই যদি বলা
না যায় তবে আর দুয়ের বন্ধন কেন!
ভাবতে ভাবতে রাত্রি দ্বি-প্রহর অতিক্রান্ত হয়েছে, তন্দ্রার চোখে ঘুম নেই, ঘুম
আসছেও না। ফলে দোতলার উত্তর দিকের জানালা খুলে দিয়ে সে বড় রাস্তার মৃদু আলোর
দিকে তাকিয়ে আছে। এ সময়ও হঠাৎ হঠাৎ মৃদু আলোয় মানুষের আসা-যাওয়া প্রত্যক্ষ হয়
আবার কখনও কখনও মালবাহী দু'একটি ট্রাকের গর্জন মনযোগ ভাঙে। এই তো ক্ষাণিক আগে
রাস্তার একটি বিড়ালকে চাপা দিয়ে গেছে একটি ট্রাক। ট্রাকের ড্রাইভারটি নিশ্চয়ই
একজন মানুষ কিন্তু কেমন মানুষ। এরকম ফাঁকা রাস্তায় কেউ এভাবে বিড়ালটিকে হত্যা
করতে পারে, নিজের কাছেই প্রশ্ন করে তন্দ্রা।
সুপ্ত সকালবেলা নাস্তা করে বেরিয়ে গেছে অফিসে, এখনও ফেরেনি। সবেমাত্র তিন-চার
মাস অতিক্রান্ত হয়েছে ওদের বিয়েরকাল। এখনি সুপ্তর মন বাইরে চলে গেছে, খুব
সাধারণ একজন মেয়ের মতো সেও এইকথা ভাবে। অথচ জীবনটাকে খুব সহজ করে নিয়েছিল সে
নিজের মতো। সারাটা জীবন কি তবে এভাবেই কাটাতে হবে, খুব আফসোস হয় তন্দ্রার।
তার বিবাহিত বান্ধবীদের কথা মনে পড়ে। ওদের কারও কারও বিয়ের বয়স তিন-চার বছর
পেরিয়ে গেছে তবু ওদের স্বামী সম্পর্কে মধুর কথা শোনে নিজেকে দুর্ভাগ্যবতী মনে
হয়। তার কষ্টটা বাইরে প্রকাশ করার মতো নয় নিজে কাছে সওয়া ছাড়া। কাকে বলবে সে,
সেই একটি ঘটনাই তাকে বারবার অবদমিত করে রাখে। কেন সে এমনটি করেছিল তার আজ কোন
যুক্তি খুঁজে পায় না। আজ তো জীবনের মানেই অন্যরকম বোধ হচ্ছে। নিজের কাছেই
নিজেকে আরও বেশি অপরাধী মনে হয়। তার কিবা দোষ ওটা তো বয়সজনিত ঘটনা, তাছাড়া সে
নিজেও বুঝতে পারেনি কিভাবে ওটা ঘটেছিল। আজ বুঝে, ওরকম আবেগ ও বিশ্বাস কখনও
কখনও ভাল নয়। পুরনো স্মৃতি তাকে ভারাক্রান্ত করে, কখন যে অতীতমন্থনে ডুবে যায়
তার মন সে নিজেও জানে না। একটি মুখোশ তার দিকে স্পষ্ট হয়ে এগিয়ে আসতে থাকে।
সে রাগে, দুঃখে মনে মনে ভাবে মুহূর্তেই আগুন জ্বালিয়ে দেবে মুখোশটির শরীরে,
কেন ওভাবে তাকে প্ররোচিত করেছিল।
ক্রমশ মুখোশটি অস্পষ্ট হতে হতে আবার ভেসে ওঠে বান্ধবীদের মুখ। আজ তাদের কথাই
সত্যি মনে হয় নইলে সেই ঘটনাটি শোনার পর থেকে সুপ্ত এত মনমরা হয়ে আছে কেন।
তন্দ্রার চোখে ঘুম এসে গিয়েছিল, আধোঘুমের লেশলাগা চোখেই সে রাস্তার দিকে
তাকায় এবং মুহূর্তেই তন্দ্রালু চোখ ভেঙে দিব্যজগতে ফিরে আসে সে। সুপ্তর আগমন
দৃশ্যটি আজ তার কাছে অন্যরকম মনে হয়। সুপ্ত কি আজ মাতাল হয়ে ঘরে ফিরছে।
সাধারণত এ অবস্থায় পুরুষরা মদটদ খেয়ে মাতাল হয়ে ঘরে ফিরে। কলিংবেল বেজে ওঠার
আগেই সে নিচে গিয়ে দরজা খুলে দেয়, স্বচ্ছ হয়ে ওঠে সুপ্তর মুখ; কান্ত,
তন্দ্রালু আর হাজার প্রশ্নের বাণ যেন চোখ বেয়ে নেমে আসে তন্দ্রার দিকে। তার
ভীত শরীর হাল্কা গরম আর ভয়ার্ত প্রতিবেশে ঘামতে শুরু করেছে। সুপ্ত কোন কথা না
বলে ভেতরে প্রবেশ করে, দরজা বন্ধ করে পেছনে পেছনে দোতলায় ওঠে তন্দ্রা।
ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে কোট-টাই খুলে সুপ্ত। তন্দ্রার
ইচ্ছা হয়, প্রতিদিনের মতো আজো কোট-টাই খুলে দিতে কিন্তু সাহস হয় না। কোন এক
অক্টোপাস যেন শীতল করে রেখেছে তার হাত-পা-মুখ। হাল্কা ট্রাউজার পরে বাথরুমে
প্রবেশ করে সুপ্ত। ক্ষাণিক পর ফ্রেশ হয়ে ফিরে আসে কিন্তু তার চোখে-মুখে
হাল্কা কান্তির ছাপ রয়ে গেছে, আয়নায় চুল আঁচড়িয়ে বিছানার দিকে যায় এমন সময়
কথা ফোটে তন্দ্রার।
টেবিলে খাবার দেয়া হয়েছে, খাবে চল।
খাব না, বলেই সুপ্ত বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে পড়ে। তন্দ্রার রাতের খাবার খাওয়া
হয়নি, কথা না বাড়িয়ে সেও বিছানায় গা ছেড়ে দেয়, কিছুক্ষণ ভাবে কিছু জিজ্ঞেস
করবে কিনা? তারপর প্রশ্ন করে...
দুপুরে খেতে এলে না যে?
ইচ্ছে হয়নি, সুপ্তর সহজ উত্তর।
ক'দিন যাবত তুমি এমন করছ, কি এমন দোষ করেছি যে...। তন্দ্রার কথা শেষ হতে না
হতেই সুপ্তর স্বাভাবিক ঝাঁঝালো স্বর...
দেখ, এই মাঝরাতে কোন সিনক্রিয়েট করতে চাই না। যা হয়েছে তা মামুলি বিষয়, খুবই
স্বাভাবিক কিন্তু চেপে রাখা আরও বেশি অস্বাভাবিক। আমাকে তাই করতে হচ্ছে, এরকম
বিপাকে পড়তে হবে কোনদিন ভাবিনি আমি। এত রাতে রুমে বাতি জ্বালানো থাকলে,
বাবা-মা চলে আসতে পারেন। বাতিটা নিভিয়ে দয়া করে একটু শান্তিতে ঘুমোতে দাও।
তন্দ্রা আর কথা বাড়ায় না, ধীরে ধীরে ওঠে বাতিটা নিভিয়ে দেয়। তারপর শেষ রাত্রে
কখন যে ঘুমিয়ে গেছে দু'জন কেউ জানে না।
মন: মনুষ্য ধারাবাহিকতায় একটি জটিল বিষয়। মিরাকল। সে কখন কোথায়-যে যায় তার
কোন ঠিকানা নেই। বিড়াল, বারো ঘরের পাতিলের গন্ধ শুঁকে শেষে উগাড়ের ইঁদুর নিয়ে
যার রাত্রিবাস। এখানেই জীবনের সম্পর্ক জড়িত, আমাদের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত,
উচ্চবিত্ত সবখানেই রয়েছে মনোবিত্ত কিংবা নেই। এই আছে ও নেই এর মধ্যে আমাদের
আজন্ম বসবাস, এই কথা হয়েছে জানা।
সুপ্ত ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু তন্দ্রার চোখে ঘুম নেই। ঘুম আসছে না। নুসরাত আপুর
কথা স্মরণ হয় তার। প্রতিবেশী। বড়বোন শুভ্রার বান্ধবী। বিয়ের কিছুদিন পর হঠাত
একদিন বাড়ির বাঁশঝাড়ে গলায় দড়িবেঁধে আত্মহত্যা করলো সে। সবাই অবাক, নুসরাত
এরকম করলো কেন? পরে, বাড়ির লোকজনের কানাঘুঁষায় আসল ঘটনাটি জেনেছিল তন্দ্রা।
নুসরাত তখন হাইস্কুলের ছাত্রী। ওদের বাড়িতে একজন গৃহশিক্ষক থাকতো। এই
শিক্ষকের সাথেই বাড়ির সকলের অজান্তে নুসরাতের প্রেমের সম্পর্ক হয়ে যায়।
সম্পর্ক এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, একে-অপরের দেহদানে সঠিক হিসেবের অবকাশ
হয়নি কারোর। একসময় অসতর্ক নুসরাত সন্তান সম্ভবা হয়ে যায়। ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে
বাড়ির লোকজন জেনে গেলে কোন একরাতে নুসরাত-কে স্থানিয় এক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে
এবোরশন করিয়ে আনে। ঘটনাটি প্রতিবেশী কেউ বুঝে ওঠার আগেই বাড়ির লোকজন ওই
গৃহশিক্ষক-কে বাড়ি থেকে বিদেয় করে দেয়।
তার বছর পাঁচেকের মধ্যেই বিয়ে হয় নুসরাতের। বিয়েরাতেই বরের কাছে ঘটনাটি
জানিয়ে দিয়েছিল নুসরাত। ঘটনাটি জানার পর ওর বর আর তাকে বউ হিসেবে রাখতে
চায়নি। ফিরতি নাইয়রের নামে নুসরাত-কে বাড়ি রেখে গিয়ে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে
দেয় ওর বর। অসহায় নুসরাত ভেবে কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে শেষমেষ গলায় দড়ি
বেধে আত্মহত্যা করে।
শুভ্রাকে মানুষ বলে মনে হয় না তার। ওইরকম সময়েই তো অহনের সাথে তন্দ্রার
অনেকটা প্রেমের মতোই ঘটনাটি ঘটেছিল। অহন শুভ্রার ভাসুরের ছেলে। সুদর্শন যুবক।
ওইরাতের ঘটনাটি মনে পড়ে তন্দ্রার। শুভ্রার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।
রাতে তন্দ্রা আর অহন একসাথে ছিল। ছেলেটা খুব পাগল, অস্থির আর উত্তেজিত হয়ে
গিয়েছিল। তন্দ্রা নিজেও খুব সম্মোহিত আর চড়ম লোভী হয়ে ওঠেছিল সে রাতে। ভাবতে
ভাবতে খুবই লজ্জাক্রান্ত হয় তন্দ্রা। ঘুমন্ত স্বামীকে পাশে রেখে এসব ভাবতে
ভালো লাগে না তার। তাছাড়া তার চিন্তা ঘুমন্ত সুপ্ত আবার টের পেয়ে যাচ্ছে
নাতো! সে রাতের নিজস্ব আলোয় সুপ্তর দিকে তাকায়। সুপ্ত নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে শুয়ে
আছে। ফ্যানের হালকা বাতাসেও সুপ্তর শরীর মৃদু ঘর্মাক্ত। নাকের ডগায় বিন্দু
বিন্দু জলের স্থির সন্তরণ। জনশ্রুতির কথাটি মনে হয় তার। যে পুরুষের নাক বেশি
ঘামে সে পুরুষ খুব বউ-আদরের হয়। সুপ্তকে আদর করতে ইচ্ছে হয় তার কিন্তু পারে
না। ঘুমন্ত স্বামীকে আদর করে দিতে কেমন যেন গর্হিত অপরাধবোধ আটকে রাখে তাকে।
মনে ভাবে, সুপ্তর মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে ওঠলে ওকে ইচ্ছেমতো আদর করে
প্রমাণ করবে জনশ্রুতির কথাটি আসলেই ঠিক।
অন্ধকারের আলোতেই মুখোশটির অস্তিত্ব টের পায় তন্দ্রা। মুখোশটি তার চারপাশে
ঘুরঘুর করতে থাকে আর প্ররোচিত করতে থাকে। পালিয়ে যা তন্দ্রা, পালিয়ে যা, দূরে
কোথাও। নইলে শান্তি পাবি না। পালাবার এখনই সময়। তন্দ্রা ভাবে সত্যি সত্যি সে
পালিয়ে যাবে কিনা। গেলে কেমন হয়? একেবারে অজানায়, দূরে, অনেক দূরে। নুসরাতের
কথা মনে হয় তন্দ্রার। তারমতো সেও কী দূরে কোথাও গিয়ে আত্মহত্যা করবে নাকি।
আবার ভাবে আত্মহত্যা করবে কেন? সে সুপ্তকে ভালোবাসে আর সুপ্তও তাকে, তাই তার
আত্মহত্যা করা ঠিক হবে না। অস্থির হয়ে ওঠে তন্দ্রা, তার শরীরও ঘামতে থাকে।
মুহূর্তেই সে মুখোশটিকে ধরে ফেলতে চায় কিন্তু ধরতে পারে না। অন্ধকারেই
মুখোশটি একবার তার পাশে আসে... একবার সোফায় গিয়ে বসে... একবার সুপ্তর
কম্পিউটার টেবিলে গিয়ে বসে... একবার জানালার পাশে দাঁড়ায়... একবার বারান্দায়
গিয়ে দাঁড়ায়... মুখোশটিকে সে যেন কিছুতেই ধরতে পারে না। ঘর্মাক্ত তন্দ্রা
বিছানা ছেড়ে টেবিলের দিকে যায়। জগভর্তি পানি থেকে একগ্লাস পানি খায় সে। তারপর
বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। নির্জন রাস্তায় স্ট্রিট লাইটের ২৫০ ভোল্ট বাতির মৃদু
আলো আর ট্রাকচাপায় থেতলে যাওয়া বিড়ালটিকে দেখতে থাকে সে।
সকালে নাস্তার টেবিলে দুজনেই চুপচাপ থাকে যেন একে-অপরকে কেউ চেনে না।
অন্যান্য দিন তন্দ্রা নিজ হাতে ব্রেড-এ জেলি মেখে খেতে দিয়েছে কিন্তু আজ
দিচ্ছে না, নিজেও নিচ্ছে না। হঠাত সুপ্ত উত্তেজিত হয়ে কোনো সিনক্রিয়েট করে
ফেলে সেই ভয়। তন্দ্রা কী রাতে ঘুমিয়েছিল? বোধ হয় না, ওর চোখ দেখে বোঝা যায়।
হয়তবা রাতে কেঁদেও ছিল। নাস্তা সেরে সুপ্ত রমে ফিরে অফিস যাবে বলে প্রস্তুত
হয়েছে, এমন সময় তন্দ্রা এসে সামনে দাঁড়ায়।
তোমার সাথে কথা আছে।
বল, সুপ্ত'র উত্তর।
আমি বাড়ি যাব।
এবার সুপ্ত মনযোগী ভঙ্গিতে আরেকটু সামনে এগিয়ে তন্দ্রার মুখোমুখি হয়।
এখানে কী খারাপ লাগছে? হেভ য়্যু ফিল বোরিং হিয়ার!
এমন একটি সিরিয়াস বিষয়ে সুপ্ত'র হেয়ালিপনার অর্থ তন্দ্রা বুঝতে পারে না, সে
উত্তরহীন তাকায়।
ওকে, ওকে ইফ য়্যু ফিল বোরিং অর ডিজগাস্টিং দেন য়্যু কেন গো বাট নট উইদাউট মি।
আই ওয়ান্ট টু গো উইথ য়্যু ফর রিচড্ এন্ড এ পিচফুল এরেঞ্জমেন্ট ফর য়্যু দেয়ার।
হেভ য়্যু আন্ডারস্ট্যান্ড ডেয়ার অনারেবল মেডাম। এই বলে তন্দ্রার মুখটা
দু'হাতে একটু উঁচিয়ে ধরে নিজের খুব কাছাকাছি এনে সম্মোহনের মতো তাকায় সুপ্ত।
তন্দ্রা কিছু বুঝতে পারে না, সে সুপ্তর দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রথম দিনের মতো,
মহাজাগতিক জিজ্ঞাসার ভঙ্গিতে। ফাঁকে, কখন যে সুপ্ত তার ওষ্ঠে একটা চুম্বন
দৃশ্য এঁকে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়, ঠাহর হয় না তন্দ্রার।
বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে গ্রামের মেয়েরা যে রকম বৃষ্টিতে ভিজে সজীবতা উপভোগ
করে, তন্দ্রাও সেই সজীবতা ফিরে পায়। বুঝতে পারে, কী ভুলটাই না সে করতে
বসেছিল। মতিভ্রমে মানুষের এরকমই হয়। তার মুখে তখনও ভাষা ফুটেনি, ইচ্ছে করে
দৌড়ে গিয়ে সুপ্তকেও সে একটি চুম্বন করে আসে কিন্তু পারে না, প্রথম দিনের মতো
বহুকালের অচেনা বোধ কাজ করে। আজন্ম নারীজনমের লজ্জাবোধ তাকে আটকে রাখে।
অফিসে ফিরেই সুপ্ত নিশ্চিত টেলিফোন করবে, তন্দ্রা জানে। তাই রুমেই থাকে, এদিক
ওদিক ছুটোছুটি করে, বই পড়ে, টেলিভিশন অন করে কিন্তু ভালো লাগে না, সিডি
প্লেয়ার অন করে লোপামুদ্রা মিত্রের গান শোনে 'ছেলেবেলার বৃষ্টি মানেই
আকাশজোড়া...' গরম পড়েছে তবু এই গান খারাপ লাগে না; স্মৃতিমন্থন হয়। ফ্যানটা
ছেড়ে সে উত্তরের জানালাটা পুনরায় খুলে দেয়। খুলতে খুলতে মনে পড়ে বড় রাস্তায়
গতকাল রাতে একটি বিড়াল ট্রাকচাপা পড়েছিল। তার থেতলে যাওয়া চিহ্ন এখনও স্পস্ট
হয়। বিড়ালটির কোনো দোষ ছিল না, সেই ভ্রুণটিরও... পুনরায় তার সেই ছায়াটির কথা
মনে হয় কিন্তু দিনের শ্বেতশুভ্র আলোয় তাকে দেখতে পায় না সে। তন্দ্রা জানে
এবার যদি তাকে সামনে পায় সে নিশ্চিত গলাটিপে হত্যা করবে।
Link - http://shortstory-simanto.blogspot.com/2009/07/blog-post_03.html
রবিবার, ২১ মার্চ, ২০১০
Hiren Boot হিরেন বুট সিডি ১০.১ : একের ভিতরে সব পর্ব-১
হিরেন বুট সিডি ১০.১ : একের ভিতরে সব
হিরেন বুট একটি জনপ্রিয় লাইভ সিডি। ৯.৯ সংস্করণ থেকে এতে যুক্ত হয়েছে উইন্ডোজ মিনি। ফলে এক সিডি দ্বারা উইন্ডোজের প্রায় সকল সমস্যার সমাধানের পাশপাশি লাইভ এক্সপিও ব্যবহার করা যাবে। এতে ২৩টি শ্রেণীতে ২০০টির মত টুলস রয়েছে। শ্রেণীগুলো হচ্ছে
১।পার্টিশন টুলস (১৪টি)
২। ব্যাপআপ টুলস (১৬টি)
৩। রিকভারী টুলস (১৫টি)
৪। টেস্টিং টুলস (৯টি)
৫। র্যাম (মেমরী) টেস্টিং টুলস (৪টি)
৬। হার্ডডিক্স টুলস (১৪টি)
৭। সিস্টেম ইনফোরমেশন টুলস (১৬টি)
৮। এমবিআর (মাস্টার বুট রেকর্ড) টুলস (১০টি)
৯।বায়োস/সিমস টুলস (৮টি)
১০। মাল্টিমিডিয়া টুলস (৩টি)
১১। পাসওয়ার্ড টুলস (১৬টি)
১২। এনটিএফএস (ফাইল সিস্টেম) টুলস (৫টি)
১৩। ব্রাউজার / ফাইল ম্যানেজার (১০টি),
১৪। অনান্য টুলস (৭টি)
১৫। ডস টুলস (৯টিরও বেশী)
১৬। ক্লিনার্স (৩টি),
১৭। অপটিমাইজার (৪টি),
১৮। নেটওয়ার্ক টুলস (৫টি),
১৯।প্রোসেস টুলস (৭টি),
২০। রেজিস্ট্্ির টুলস (৩টি),
২১। স্টার্টআপ টুলস (৫টি),
২২। টোয়ীকারস (৮টি) এবং
২৩।এন্টিভাইরাস টুলস (৯টি)।
সিডিটিতে রাইট করার উপযোগী ১৯৪ মেগাবাইটের ১০.১ সংস্করণের ISO ফরম্যাটের ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারবেন www.hirensbootcd.net এখান থেকে।
হিরেন বুট একটি জনপ্রিয় লাইভ সিডি। ৯.৯ সংস্করণ থেকে এতে যুক্ত হয়েছে উইন্ডোজ মিনি। ফলে এক সিডি দ্বারা উইন্ডোজের প্রায় সকল সমস্যার সমাধানের পাশপাশি লাইভ এক্সপিও ব্যবহার করা যাবে। এতে ২৩টি শ্রেণীতে ২০০টির মত টুলস রয়েছে। শ্রেণীগুলো হচ্ছে
১।পার্টিশন টুলস (১৪টি)
২। ব্যাপআপ টুলস (১৬টি)
৩। রিকভারী টুলস (১৫টি)
৪। টেস্টিং টুলস (৯টি)
৫। র্যাম (মেমরী) টেস্টিং টুলস (৪টি)
৬। হার্ডডিক্স টুলস (১৪টি)
৭। সিস্টেম ইনফোরমেশন টুলস (১৬টি)
৮। এমবিআর (মাস্টার বুট রেকর্ড) টুলস (১০টি)
৯।বায়োস/সিমস টুলস (৮টি)
১০। মাল্টিমিডিয়া টুলস (৩টি)
১১। পাসওয়ার্ড টুলস (১৬টি)
১২। এনটিএফএস (ফাইল সিস্টেম) টুলস (৫টি)
১৩। ব্রাউজার / ফাইল ম্যানেজার (১০টি),
১৪। অনান্য টুলস (৭টি)
১৫। ডস টুলস (৯টিরও বেশী)
১৬। ক্লিনার্স (৩টি),
১৭। অপটিমাইজার (৪টি),
১৮। নেটওয়ার্ক টুলস (৫টি),
১৯।প্রোসেস টুলস (৭টি),
২০। রেজিস্ট্্ির টুলস (৩টি),
২১। স্টার্টআপ টুলস (৫টি),
২২। টোয়ীকারস (৮টি) এবং
২৩।এন্টিভাইরাস টুলস (৯টি)।
সিডিটিতে রাইট করার উপযোগী ১৯৪ মেগাবাইটের ১০.১ সংস্করণের ISO ফরম্যাটের ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারবেন www.hirensbootcd.net এখান থেকে।
আপনার মোবাইল এ এক সাথে ১৬ টি সিম ব্যাবহার করুন
আপনার মোবাইল এ এক সাথে ১৬ টি সিম ব্যাবহার করুন
বার বার সিম পরিবতন করতে করতে আপনার সিম এবং মোবাইল এর বার টা বেজে গেছে?
আপনি চাইলে আপনার সিম গুলো এক সাথে আপনার মোবাইল এ ব্যাবহার করতে পারেন
কি ভাবে?
সুপার সিম বা সিম মাক্স নামক এক প্রকার সিম আছে যাতে ৬ থেকে ১৬ টি সিম এক সাথে
কপি করে ব্যাবহার করা যায়
কি কি লাগবে?
১। সুপার সিম
২। সিম রিডার
৩। সফটয়্যার
কি ভাবে কাজ করে?
সিম কার্ডে ব্যবহার কারীকে সনাক্ত করতে কিছু তথ্য থাকে। এগুলো হল:
* ICCID: Integrated Circuit Card ID
8988012345678912345F এরকম একটি কোড। এটি সিমের গায়ে লেখা থাকে।
* IMSI: "International Mobile Subscriber Identity"
470-01 084930321003457820 এরকম একটি কোড।
* KI: Authentication Key
A8-0B-FF-6F-0C-28-D5-37-00-E1-40-2A-0E-0A-E9-BA
এরকম একটি হেক্সাডেসিমাল কোড।
একটি সিমের এই ইনফরমেশন গুলো জানতে পারলেই আপনি সেই সিমের ক্লোন তৈরি করতে পারবেন। ক্লোন সিম আপনি মুল সিমের মতই ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ মূল সিমটি ব্যবহার না করে ক্লোন থেকেই কল করা বা সব কাজ করতে পারবেন। আর এই ইনফরমেশন গুলো ক্লোন করে যে সিমে প্রবেশ করাবেন তা হল সুপার সিম। সুপার সিম গুলো সাধারনত চাইনা থেকে আসে। এবং একটি সুপার সিমে সাধারণত ৬ থেকে ১৬ টি সিমের ক্লোন একসাথে রাখা যায়। সিমটি দেখতে অন্যান্য সিমের মতই। তবে এই সিমের সকল ইনফরমেশন বার বার মুছে আবার নতুন করে প্রবেশ করানে যায়। ইনফরমেশন গুলো আলাদা আলাদা ব্লকে থাকে। আপনি সিমটি চালু করার পর সেট থেকে STK অপশনে গেলে যে ক্লোনগুলো থাকবে তার একটা লিস্ট পাবেন। সাধারণত Switch Number এই অপশন থাকে। সেখান থেকে যে নাম্বারটি সিলেক্ট করবেন সেই নাম্বারটি চালু হবে।
এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল KI. বাকিগুলো সহজেই বের করা যায়। কিন্তু KI বের করতে হলে আনেক জটিল এলগরিদম ব্যবহার করতে হয়। সিম এর আবার দুই ধরণের টেকনোলজি আছে। V1 এবং V2. বর্তমানে যেসব সিম আমরা কিনি সবই V2. কিন্তু আগে গ্রামীন এবং বাংলালিংক V1 সিম দিত। V2 ক্লোন করা এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কারন এর KI বের করার এলগরিদম এখনো কেউ বের করতে পারেনি। এতে KI ইনফরমেশন গুলো জটিল ভাবে এনক্রিপ্টেড থাকে। যাদের কাছে এখনো V1 সিম আছে তারাই ক্লোন করতে পারবেন। এজন্য যে কিট গুলো মার্কেটে পাবেন সেখানে একটি সুপার সিম, একটি সিমকার্ড রিডার এবং একটি সফ্টওয়্যার সিডি। দাম ৭০০ টাকার মতো।
কাযপ্রনালি
* সুপার সিমের সফ্টওয়্যার এবং রিডারের ড্রাইভার ইন্সটল করার পর সিম স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে KI ইনফরমেশন বের হলে ওটা একটা ডাটা ফাইল হিসেবে সেভ করতে হয়। সেভ করার সময় পাসওয়ার্ড দিলে ভালো। তাহলে এই ডাটা আর কেউ ব্যবহার করতে পারবেনা। KI ইনফরমেশন বের করার জন্য ১০ মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা লাগতে পারে। এরপর রিডারে সুপার সিম ঢুকিয়ে ডাটা গুলো এক একটি ব্লকে রাইট করে দিলেই কাজ শেষ। সিম ঢুকানো বা বের করার সময় রিডারটি কম্পিউটার থেকে আগে খুলে নিন। না হয় সিমটি সাথে সাথেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সফ্টওয়্যার এর কার্যপ্রনালী বিস্তারিত লিখছিনা। কারন এটি খুব সহজ। ইন্সটল করলেই বুঝতে পারবেন কি করতে হবে।
* আপনার সিম যদি অন্য কেউ ক্লোন করে ফেলে তবে আপনার সিমটি আপনি যেমন ব্যবহার করবেন তেমনি সেও ব্যবহার করতে পারবে। এভাবে আপনার নাম্বারটির অপব্যবহার হতে পারে যা আপনি হয়তো বুঝবেনও না। মনে করুন একসাথে একই সিমের একাধিক কপি চালু আছে। এ সময় কেউ ওই নাম্বারে কল করলে সর্বশেষ যে সিমটি অন করা হয়েছে বা সর্বশেষ যেটি থেকে কল করা হয়েছে সখানে কল যাবে। অন্য গুলোতে নেটওয়ার্ক থাকবে কিন্তু সেগুলোতে কল আসবেনা। আবার একটিতে কেউ কথা বলার সময় আন্যটি থেকে যদি কেউ কল করে তবে প্রথমটি বিচ্ছিন্ন হয়ে দ্বিতীয়টি কাজ করা শুরু করবে। তবে একই যায়গায় (একই বিটিএস এর কাভারেজে) থেকে একটিতে ভয়েস আরেকটিতে ডাটা এর কাজ করেছি আমি। আমার রুমে একটি কপি দিয়ে ইন্টারনেট এবং একই সাথে আরেকটি কপি দিয়ে কথা বলেছি। ইন্টারনেটের কোন সমস্যা হয়নি। তবে এক সাথে আরেকটিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে প্রথমটিতে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এবং আলাদা আলাদা বিটিএস এর কাভারেজে থাকলে ভয়েস এবং ডাটা আলাদা ব্যবহার করা যাবেনা। আপনার সিমটি যদি গ্রামীনের ০১৭১১, ০১৭১২, ০১৭১৬ এবং ০১৭১৩ ও ০১৭১৫ (এর কিছু কিছু) হয় এবং আপনি অন্তত ২০০৩ সালের পর আর সিম রিপ্লেস না করে থাকেন তবে আপনার সিমটি V1 সিম। বাংলালিংক এর ০১৯১১, ০১৯১২, ০১৯১৩, ০১৯১৪ সিম গুলো V1 সিম। যা ক্লোন করা সম্ভব। এখন আপনার সিমটি যদি কেউ ক্লোন করে ব্যবহার করার সম্ভাবনা থাকে তবে আপনি সিম রিপ্লেস করে নিলে আর আগের সিম বা ক্লোন কোনটাই কাজ করবেনা। কারন নতুন সিমে সম্পূর্ণ ভিন্ন ইনফরমেশন থাকবে এবং আপনি পাবেন V2 রিপ্লেসমেন্ট। যা আপাতত ক্লোন করা সম্ভব নয়। এছাড়া আপনি যদি সুপার সিম ব্যবহার করে থাকেন অবশ্যই সিমে পিনকোড দিয়ে রাখবেন যেন হারিয়ে গেলে সব গুলো রিপ্লেস করা না লাগে। আমি 16 in One সুপার সিম সহ হারিয়েছিলাম। কিন্তু পিনকোড দেয়াছিল তাই কোন সমস্যা হয়নি। অতিরিক্ত সুপারসিম মার্কেটে পাওয়া যায়, রিডার ছাড়া। ওটা কিনে এনে আবার ক্লোন ডাটা দিয়ে সিম ব্যবহার করছি।
* সুপার সিম গুলোর ২টা পিন থাকে একটা সাধারন পিন আরেকটা এসটিকে পিন। দুটোই সাধারণত ০০০০ থাকে। প্রথম পিনটি সেট অন করার সময় বা লিস্ট থেকে নাম্বার সুইচ করার সময় লাগে। এসব সিমে একটা সাধারণ ফোনবুক ও এসএমএস স্টোরেজ এবং একটা এসটিকে ফোনবুক ও এসএমএস স্টোরেজ থাকে। এগুলো সুইচ করার অপশন থাকে। প্রথম পিনকোড অফ করা থাকলেও এসটিকে পিনকোডটি কিছু কিছু কাজের সময় বলতেই হবে। সেমন এসটিকে ফোনবুকে যেতে চাইলে অবশ্যই এসটিকে পিন দিতে হবে। আর যদি প্রথম পিন এনাবল করা থাকে তবে ওটাও দিতে হবে। দুটি পিনকোডই পরিবর্তন করে নিন। ঝামেলা এড়াতে দুটি পিনে একই কোড ব্যবহার করুন। পাক কোড পাবেন সিম কার্ড হোল্ডার এর বডিতেই। পিনকোড লিখা নাও থাকতে পারে।
বিস্তারিত জানতে মেইল অথবা কল করুন
০১৭২২২৩৭৯৭৩
johnautomation1@gmail.com
বার বার সিম পরিবতন করতে করতে আপনার সিম এবং মোবাইল এর বার টা বেজে গেছে?
আপনি চাইলে আপনার সিম গুলো এক সাথে আপনার মোবাইল এ ব্যাবহার করতে পারেন
কি ভাবে?
সুপার সিম বা সিম মাক্স নামক এক প্রকার সিম আছে যাতে ৬ থেকে ১৬ টি সিম এক সাথে
কপি করে ব্যাবহার করা যায়
কি কি লাগবে?
১। সুপার সিম
২। সিম রিডার
৩। সফটয়্যার
কি ভাবে কাজ করে?
সিম কার্ডে ব্যবহার কারীকে সনাক্ত করতে কিছু তথ্য থাকে। এগুলো হল:
* ICCID: Integrated Circuit Card ID
8988012345678912345F এরকম একটি কোড। এটি সিমের গায়ে লেখা থাকে।
* IMSI: "International Mobile Subscriber Identity"
470-01 084930321003457820 এরকম একটি কোড।
* KI: Authentication Key
A8-0B-FF-6F-0C-28-D5-37-00-E1-40-2A-0E-0A-E9-BA
এরকম একটি হেক্সাডেসিমাল কোড।
একটি সিমের এই ইনফরমেশন গুলো জানতে পারলেই আপনি সেই সিমের ক্লোন তৈরি করতে পারবেন। ক্লোন সিম আপনি মুল সিমের মতই ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ মূল সিমটি ব্যবহার না করে ক্লোন থেকেই কল করা বা সব কাজ করতে পারবেন। আর এই ইনফরমেশন গুলো ক্লোন করে যে সিমে প্রবেশ করাবেন তা হল সুপার সিম। সুপার সিম গুলো সাধারনত চাইনা থেকে আসে। এবং একটি সুপার সিমে সাধারণত ৬ থেকে ১৬ টি সিমের ক্লোন একসাথে রাখা যায়। সিমটি দেখতে অন্যান্য সিমের মতই। তবে এই সিমের সকল ইনফরমেশন বার বার মুছে আবার নতুন করে প্রবেশ করানে যায়। ইনফরমেশন গুলো আলাদা আলাদা ব্লকে থাকে। আপনি সিমটি চালু করার পর সেট থেকে STK অপশনে গেলে যে ক্লোনগুলো থাকবে তার একটা লিস্ট পাবেন। সাধারণত Switch Number এই অপশন থাকে। সেখান থেকে যে নাম্বারটি সিলেক্ট করবেন সেই নাম্বারটি চালু হবে।
এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল KI. বাকিগুলো সহজেই বের করা যায়। কিন্তু KI বের করতে হলে আনেক জটিল এলগরিদম ব্যবহার করতে হয়। সিম এর আবার দুই ধরণের টেকনোলজি আছে। V1 এবং V2. বর্তমানে যেসব সিম আমরা কিনি সবই V2. কিন্তু আগে গ্রামীন এবং বাংলালিংক V1 সিম দিত। V2 ক্লোন করা এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কারন এর KI বের করার এলগরিদম এখনো কেউ বের করতে পারেনি। এতে KI ইনফরমেশন গুলো জটিল ভাবে এনক্রিপ্টেড থাকে। যাদের কাছে এখনো V1 সিম আছে তারাই ক্লোন করতে পারবেন। এজন্য যে কিট গুলো মার্কেটে পাবেন সেখানে একটি সুপার সিম, একটি সিমকার্ড রিডার এবং একটি সফ্টওয়্যার সিডি। দাম ৭০০ টাকার মতো।
কাযপ্রনালি
* সুপার সিমের সফ্টওয়্যার এবং রিডারের ড্রাইভার ইন্সটল করার পর সিম স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে KI ইনফরমেশন বের হলে ওটা একটা ডাটা ফাইল হিসেবে সেভ করতে হয়। সেভ করার সময় পাসওয়ার্ড দিলে ভালো। তাহলে এই ডাটা আর কেউ ব্যবহার করতে পারবেনা। KI ইনফরমেশন বের করার জন্য ১০ মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা লাগতে পারে। এরপর রিডারে সুপার সিম ঢুকিয়ে ডাটা গুলো এক একটি ব্লকে রাইট করে দিলেই কাজ শেষ। সিম ঢুকানো বা বের করার সময় রিডারটি কম্পিউটার থেকে আগে খুলে নিন। না হয় সিমটি সাথে সাথেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সফ্টওয়্যার এর কার্যপ্রনালী বিস্তারিত লিখছিনা। কারন এটি খুব সহজ। ইন্সটল করলেই বুঝতে পারবেন কি করতে হবে।
* আপনার সিম যদি অন্য কেউ ক্লোন করে ফেলে তবে আপনার সিমটি আপনি যেমন ব্যবহার করবেন তেমনি সেও ব্যবহার করতে পারবে। এভাবে আপনার নাম্বারটির অপব্যবহার হতে পারে যা আপনি হয়তো বুঝবেনও না। মনে করুন একসাথে একই সিমের একাধিক কপি চালু আছে। এ সময় কেউ ওই নাম্বারে কল করলে সর্বশেষ যে সিমটি অন করা হয়েছে বা সর্বশেষ যেটি থেকে কল করা হয়েছে সখানে কল যাবে। অন্য গুলোতে নেটওয়ার্ক থাকবে কিন্তু সেগুলোতে কল আসবেনা। আবার একটিতে কেউ কথা বলার সময় আন্যটি থেকে যদি কেউ কল করে তবে প্রথমটি বিচ্ছিন্ন হয়ে দ্বিতীয়টি কাজ করা শুরু করবে। তবে একই যায়গায় (একই বিটিএস এর কাভারেজে) থেকে একটিতে ভয়েস আরেকটিতে ডাটা এর কাজ করেছি আমি। আমার রুমে একটি কপি দিয়ে ইন্টারনেট এবং একই সাথে আরেকটি কপি দিয়ে কথা বলেছি। ইন্টারনেটের কোন সমস্যা হয়নি। তবে এক সাথে আরেকটিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে প্রথমটিতে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এবং আলাদা আলাদা বিটিএস এর কাভারেজে থাকলে ভয়েস এবং ডাটা আলাদা ব্যবহার করা যাবেনা। আপনার সিমটি যদি গ্রামীনের ০১৭১১, ০১৭১২, ০১৭১৬ এবং ০১৭১৩ ও ০১৭১৫ (এর কিছু কিছু) হয় এবং আপনি অন্তত ২০০৩ সালের পর আর সিম রিপ্লেস না করে থাকেন তবে আপনার সিমটি V1 সিম। বাংলালিংক এর ০১৯১১, ০১৯১২, ০১৯১৩, ০১৯১৪ সিম গুলো V1 সিম। যা ক্লোন করা সম্ভব। এখন আপনার সিমটি যদি কেউ ক্লোন করে ব্যবহার করার সম্ভাবনা থাকে তবে আপনি সিম রিপ্লেস করে নিলে আর আগের সিম বা ক্লোন কোনটাই কাজ করবেনা। কারন নতুন সিমে সম্পূর্ণ ভিন্ন ইনফরমেশন থাকবে এবং আপনি পাবেন V2 রিপ্লেসমেন্ট। যা আপাতত ক্লোন করা সম্ভব নয়। এছাড়া আপনি যদি সুপার সিম ব্যবহার করে থাকেন অবশ্যই সিমে পিনকোড দিয়ে রাখবেন যেন হারিয়ে গেলে সব গুলো রিপ্লেস করা না লাগে। আমি 16 in One সুপার সিম সহ হারিয়েছিলাম। কিন্তু পিনকোড দেয়াছিল তাই কোন সমস্যা হয়নি। অতিরিক্ত সুপারসিম মার্কেটে পাওয়া যায়, রিডার ছাড়া। ওটা কিনে এনে আবার ক্লোন ডাটা দিয়ে সিম ব্যবহার করছি।
* সুপার সিম গুলোর ২টা পিন থাকে একটা সাধারন পিন আরেকটা এসটিকে পিন। দুটোই সাধারণত ০০০০ থাকে। প্রথম পিনটি সেট অন করার সময় বা লিস্ট থেকে নাম্বার সুইচ করার সময় লাগে। এসব সিমে একটা সাধারণ ফোনবুক ও এসএমএস স্টোরেজ এবং একটা এসটিকে ফোনবুক ও এসএমএস স্টোরেজ থাকে। এগুলো সুইচ করার অপশন থাকে। প্রথম পিনকোড অফ করা থাকলেও এসটিকে পিনকোডটি কিছু কিছু কাজের সময় বলতেই হবে। সেমন এসটিকে ফোনবুকে যেতে চাইলে অবশ্যই এসটিকে পিন দিতে হবে। আর যদি প্রথম পিন এনাবল করা থাকে তবে ওটাও দিতে হবে। দুটি পিনকোডই পরিবর্তন করে নিন। ঝামেলা এড়াতে দুটি পিনে একই কোড ব্যবহার করুন। পাক কোড পাবেন সিম কার্ড হোল্ডার এর বডিতেই। পিনকোড লিখা নাও থাকতে পারে।
বিস্তারিত জানতে মেইল অথবা কল করুন
০১৭২২২৩৭৯৭৩
johnautomation1@gmail.com
মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০১০
Firefox এ ভিজিট করা পেইজ কে PDF ফরমেটে সেভ করুন
সহজেই ভিজিট করা পেইজ কে PDF ফরমেটে সেভ করুন Firefox এর Add-ons দিয়ে…… Add-ons টি দিয়ে যে কোনো পেইজ কে PDF,JPEG এবং PNG ফরম্যাট এ সেভ করা যায়। সহজেই ভিজিট করা পেইজ কে PDF ফরমেটে সেভ করুন Firefox এর Add ons দিয়ে…… | Techtunes ১. এখানে ক্লিক করে Add-ons টি ডাউনলোড করে নিন এবং Install করুন। ২. Firefox রি-স্টার্ট দিন এর পর কনো পেজ ওপেন করে মাউস এর রাইট বাটন ক্লিক করে দেখুন Pdf it নামে এক টি অপশন এসেছে। কাজ টি অনলাইনে অথবা সফট দিয়ে করা যায়। এজন্য নাবিল ভাই এর পোস্ট টি দেখুন। অনলাইন কনভার্ট করলে হয়ত বাংলা সাইট এর ফন্ট ঠিক নাও আসতে পারে।
সূত্র – রুপম
সূত্র – রুপম
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)